বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকবাহিনী এদেশ মেধা শুণ্য করতে চেয়েছিল:জেলা প্রশাসক

মাসুদ রানা ॥

চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর বিজয় মেলা মঞ্চে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সেখানে চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা পরিষদ , রাজনৈতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদ চেয়াম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী প্রমুখ।

পরে রাতে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান প্রশাসক বলেন, আমরা বিজয় মেলার মঞ্চে প্রতিদিন অনুষ্ঠান করছি। বক্তারা বলেছেন একটু পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তখন সামনের ফাঁকা চেয়ারগুলো আর ফাঁকা থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে।

তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্যে বলতে চেষ্টা করবো কি কারনে,কেন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। আলবদর আলসামসরা ৭১ -এর জুলাই মাসে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের তালিকা পাক হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছিল। বিজয় মেলা আয়োজিত হয়েছিল বলেই এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল।তাই সবার প্রতি অনুরোধ, আলোচনা শুনুন, দেশ স্বাধীনের ইতিহাস জানুন। তার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করুন।

তিনি বলেন, পাক বাহিনী যখন বুজতে পারে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে তখন তারা এদেশকে বথ্য রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্যে শেষ মুহর্তে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বাস্তবে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয় নি। বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী এদেশকে সফল ও স্বার্থক রাষ্ট্রে পরিণত করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) বলেন, একটা দেশকে ধ্বংস করতে হলে তার মাথাকে নষ্ট করলেই হয়। তারা এ জাতিকে ধ্বংস করতে তারা আমাদের ভাষাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো, সেটা তারা পারেনি৷ পরে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো এদেশকে ধ্বংস করে দিতে।

তিনি আরো আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেকেই বুদ্ধিজীবীদের নাম জানে না। অনেকে জানার আগ্রহও করে না। এ আগ্রহ না থাকলে আমাদের দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান বীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন প্রমূখ।

আলোচনা সভার শুরুতে বুদ্ধিজীবী দিবসের উপর তথ্য উপাত্ত সম্মিলিত ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।

শেয়ার করুন: