
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্স অফিসার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের (রাওয়া) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) আলাউদ্দিন এম এ ওয়াদুদ বীর প্রতীক গত ১৫ জানুয়ারী রোববার দুপুরে ঢাকা মহাখালিস্হ রাওয়া ভবনের চতুর্থ তলায় কনফারেন্স রুমে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শিল্পীদের জন্য এক লাখ টাকা অনুদানের অর্থ প্রদান করেন।
রাওয়ার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) আলাউদ্দিন এমএ ওয়াদুদ বীর প্রতীক চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান বীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ (অব:) নগদ অর্থ গ্রহন করেন।
সেই নগদ অর্থ গতকাল ২ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রে চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান বীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা লেঃ এম এ ওয়াদুদ (অব:)প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শিল্পীদের মাঝে রাওয়ার দেয়া নগদ অর্থ প্রদান করেন।
চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহা সচিব হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন আমি এমনি এমনি করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আসিনি। তা বলতে পারবে অজয় ভৌমিক। তখন শিল্পকলা একাডেমির সামনে জরাজির্ন ভবনে শিশুরা মহড়া দিতে গিয়ে ঘামে ভিজে যেত, তা দেখে তাৎক্ষনিক আমি ফ্যান কিনে বাতাস খেয়ে আসি। আজকে অনেকে বড় বড়বক্তব্য দেয়, তারা স্বাধীনতার জন্য কি করেছে। আমি যুদ্ধে আহত হই। বঙ্গবন্ধু আমাকে সুইজারল্যান্ড পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। যখন আমি চিকিৎসা নিয়ে দেশে আসি তখন বঙ্গবন্ধু আমাকে কাছে টেনে নেয়। মিজানুর চৌধুরী আমার পিঠের ঘা বঙ্গবন্ধুকে দেখিয়ে বলেন আপনি তো যুদ্ধ দেখেন নি এই যে দেখেন। তখন বঙ্গবন্ধু আমাকে জরিয়ে ধরে চোখের জল ফেলেন। আমি চাঁদপুরের মানুষের সাথে মিশে যাই। আজো চাঁদপুরে। ৯৩ সাল থেকে সরকারি গোডাউন থেকে ত্রানের টিন এনে বিজয় মেলা শুরু করি।আমি সেই থেকে এখনো মিশে আছি। ২০২২ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আমার কাছে আরেকটা যুদ্ধ মনে হয়েছে। ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কোনো বছর পালন করা হয়নি। আমরাই বিজয় মেলার মাধ্যমে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছি। এর চেয়ে গর্বের আর কি আছে। রাওয়ার চেয়ারম্যান বিজয় মেলায় স্মৃতিচারণ কারার পর শিল্পীদের নগদ অর্থ প্রদান করার ঘোষণা দেন। সেই অর্থ শিল্পীদের মাঝে বিতরন করা হয়। সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের যে সব ধার দেনা রয়েছে তা বিজয় মেলার তহবিল থেকে পরিশোদ করার প্রতিশ্রুতি দেন। সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের বহুতল ভবন করার জন্য করার জন্য আমি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে প্লান পাশ করে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করবো।তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমি যা প্রয়োজন তাই করবো। ১০ বছরে ব্যাংকে জমা হয়েছে হয় ১০ লাখ টাকা আর ২০২২ সালে বিজয় মেলা করে ব্যাংকে জমা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকে জমা রয়েছে ২৩ লাখ টাকা। আমি বরেছি এবছরের বিজয় মেলা হবে ঐতিহাসিক বিজয় মেলা। আমি জানিনা ঐতিহাসিক মেলা করতে পেরেছি কিনা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠান , বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল কান্তি সাহা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, অনুপম নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক গবিন্দ মন্ডল,বর্নচোরা নাট্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, উদীচী চাঁদপুর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন বাবর, অনন্যা নাট্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মৃণাল সরকার, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিঙ্কু, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার হারুনুর রশিদ, সূরধ্বনি সঙ্গীত একাডেমীর অধ্যক্ষ অনিতা নন্দী, নৃত্যাঙ্গনের অধ্যক্ষ রুমা সরকার, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি মুক্তা পীযূষ, চাঁদপুর ড্রামার সাধারণ সম্পাদক মানিক পোদ্দার, খেলা ঘরের দিদারুল আলম, বিরেন সাহা, তোফায়েল আহমেদ, মুদাম্মদ আলমগীর হোসেন, নৃত্যধারার অধ্যক্ষ সোমা দত্ত, কেএম মাসুদ, স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক মনির হোসেন মান্না, সদস্য সচিব অভিজিত রায়।
অনুদান গ্রহন করেন মৃণাল সরকার, সৈকত মজুমদার সিরাজ, রিয়া চক্রবর্তী, মেধা, কাজী কাবিশা, প্রত্ন পিযুষ, প্রখর পিযুষ, সামিয়া, কুহু দত্ত, শৈলি দাস।