আজ রাত থেকেই ইলিশ ধরা শুরু

মনিরা আক্তার মনি:

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আজ। রাত ১২ টার পর আবারও মাছ ধরতে নদীতে নামবেন জেলেরা। মাছ ধরতে প্রস্তুত আছেন এই অঞ্চলের প্রায় ৫২ হাজার জেলে।
গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এক শ্রেণির জেলে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় জাটকাসহ মাছ শিকারে নামেন। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কারণে জাটকা রক্ষায় তেমন একটা নজর দিতে পারেননি বলে জানায় প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা।

মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হোসেন সরকার বলেন, আমরা জাটকা রক্ষায় ব্যাপক অভিযান চালিয়েছি। বিপুল পরিমাণ জাটকাও উদ্ধার করেছি। এখন করোনার কারণে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। কারণ মানুষ বাঁচলে ইলিশও বাঁচবে।

বাহাদুরপুর এলাকার জেলে আশর্^াদ বলেন, সরকার আমাদের চাল দিয়েছেন। তাই আমরা দুমাস নদীতে নামিনি। এখন জাল নৌকা নিয়ে বসে আছি কখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।’

মতলব উত্তর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, করোনা মহামারি সত্ত্বেও নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছি। কারেন্ট জাল ও জেলেদের আটক করা হয়। জেলেরা যাতে নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে না নামেন সেজন্য জেলেকে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চার মাস চাল দেওয়া হয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, সরকার জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে দুই মাস চাঁদপুরসহ দেশের আরো কয়েকটি জায়গায় অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এ সময় নদীতে যেকোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিলো। এবার ইলিশ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা নয়। করোনা পরিস্থিতিতে জেলেদের পুনর্বাসনে সরকার কর্তৃক কর্মসূচি ভালোভাবেই চলছে। পরিমাণ জাটকা রয়ে গেছে তা রক্ষা করা গেলে ইলিশের উপর তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে, করোনা দীর্ঘায়িত হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ রক্ষায় শঙ্কা থেকে যাবে।

Loading

শেয়ার করুন: