আমনের বীজতলায় ব্যস্ত কৃষক

মনিরা আক্তার মনি :

আষাঢ়ের ১৯ দিন পরে হলেও মতলব উত্তরে দেখা মিলেছে না ভারি বৃষ্টিপাতের। বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে মাঝে মধ্যে হঠাৎ মতলব উত্তর জুড়ে দেখা দেয় স্বস্তির বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পর থেকে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মাঠ জুড়ে বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় বীজ ধান রোপনে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন এই অঞ্চলের কৃষকরা।

এদিকে কৃষকরা কিছুদিন আগেই তাদের উৎপাদিত বোরো ধান ঘরে তুলেছেন। বেশ কিছুদিন বিশ্রাম শেষে আবারও মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। এছাড়াও তারা মহামারি করোনা বিষয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতনতার মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯হাজার হেক্টর। উন্নত বীজ উৎপাদনের জন্য সরকার ২৮০জন কৃষককে আমন প্রণোদনা প্রদান করেছে।

আবার অনেক কৃষক ইতোমধ্যে আমন ধানের বীজ জমিতে অগ্রিম ফেলেছেন। কৃষকদের আশা, এবার বোরো মৌসুমের মতো, তারা আমন মৌসুমেই ভালো ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো পাবে। গেলো বোরো মৌসুমে উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার গজরা ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির পানিতে তারা আমন বীজতলা তৈরীর জন্য মাঠে কাজ করছেন। কেউ জমির আইল কাটছেন আবার কেউ জমির আগাছা পরিস্কার করছেন। অনেক কৃষকই আমন ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলার গজরা গ্রামের শরীফ হোসেন বলেন, আমরা আমন স্বর্ণা ধানের চারার জন্য বীজতলা তৈরী করছি। এবার বৃষ্টির পানিতেই নির্ধারিত জমি চাষ করে বীজতলা তৈরী করবো। এছাড়াও জমিতে ধানের ফলন বেশী পাওয়ার জন্য উন্নত জাতের ধানের বীজ উৎপাদন করছি।

উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের মাহবুব আলম জানান, এ বছর আমরা ৩কানি (১২০ শতক) জমির জন্য বীজতলা তৈরী করছি। ধান বেশী পাওয়ার জন্য ভালো জাতের বীজ ব্যবহার করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সালাউদ্দিন জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ উপজেলার কৃষকদের সঠিকভাবে বীজ উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদেরকে নানাভাবে সহযোগীতা করছেন। এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯হাজার হেক্টর।

Loading

শেয়ার করুন: