ইলিশ শিকার করতে গিয়ে হামলার শিকার জেলে, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

চাঁদপুর মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করতে গিয়ে সুমন নামে এক জেলে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে পড়ে রক্তাক্ত জখম ও গুরুতর আহত হয়েছেন। নদীতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের দোকান ঘর এলাকার মেঘনা নদীতে হরিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান।

এ সময় রামদাসদি আশ্রয়ন প্রকল্পের আনোয়ার হোসেন তাপাদারের ছেলে সুমন তপাদার ও রশিদ পাটোয়ারী নদীতে মাছ ধরতে যায়। হরিনা নৌ পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করে। পরে নৌ পুলিশের ইনচার্জ মিজান ও তার লোকজন বাঁশের মাথায় কাঞ্চি লাগিয়ে তা দিয়ে আঘাত করলে জেলে সুমন নদীতে পড়ে যায়। পরে নদীতেও তাকে বেশ কয়েকবার আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় অপর জেলে রশিদ পাটোয়ারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় জেলে সুমনকে স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে ভর্তি রয়েছে।

এ ঘটনার পরই হরিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন ও তার বিচারের দাবি জানান।

বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করে বলেন, হরিনা ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজান বহিরাগত দালাল নেছু ও ফারুকের সাথে নিয়ে অভিযানে নেমে জেলেদের আটক করে নদীর মাঝখানে থেকেই ৫০/৬০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে পরে তাদের ছেড়ে দেয়। এছাড়া হরিনা এলাকায় দালাল নেছু ও ফারুকের নেতৃত্বে অনেক জেলে নদীতে মাছ ধরতে। এলাকার অসহায় জেলেরা কিস্তির টাকার চিন্তা করে সরকারের আইন অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে গেছে। কিন্তু পুলিশ নদীতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে জেলে সুমনকে আঘাত করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। আমরা এই পুলিশি হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ মিজানের বিচার দাবি করছি।

এই ঘটনায় নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, নদীতে মাছ ধরতে গেলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশের উপর জেলেরা হামলা করার চেষ্টা করে। এ সময় একজন জেলে নদীতে পড়ে পাখার সাথে লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তা আমি শুনেছি।

Loading

শেয়ার করুন: