ঈদ শেষে যাত্রীদের বিদায়ী যাত্রা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার জন্য চাঁদপুর লঞ্চঘাটে রাজধানী ঢাকামুখী যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ দেখা গেছে। চাঁদপুর ও ঢাকা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী নিয়মিত লঞ্চ ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত লঞ্চ চালু করেছে চাঁদপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চ যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় লঞ্চগুলো কিছুটা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর থেকে দেশের অন্তত ২০টি রুটে অর্ধশত যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। শুক্রবার থেকে এই লঞ্চঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় যাত্রা করায় ভিড় কয়েকগুন বৃদ্ধি হয়েছে।

এদিকে মোটর সাইকেল নিয়ে আসা যাত্রীদের লঞ্চে বহন করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে লঞ্চ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।এতে অনেক মোটর সাইকেল আরোহী বিপাকে পড়েছেন।

হাজীগঞ্জের রাজার গাঁও আসা এক লঞ্চযাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছি । কিন্তু লঞ্চঘাটে আসার জন্য সিএনজি অটোরিকশার চালকরা ভাড়া দ্বিগুণ চাচ্ছেন। তারা ২শ’ টাকার ভাড়া ৪শ’ টাকা নিয়েছে ।

ফরিদগঞ্জ থেকে আসা লঞ্চযাত্রী খন্দকার বলেন, আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়নি । টার্মিনালে প্রচুর ভিড়।

লঞ্চের যাত্রী সুমন, রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। এখন নিজ কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই যাত্রী বা ভাড়া যত বেশি হোক আর যত ভোগান্তি হোক না কেন আমাদের তো ঢাকা পৌঁছাতেই হবে।’

একটি লঞ্চের স্টাফ জামালসহ অন্যরা বলেন,আমরা অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া নেই না। সরকারের নির্দেশনা মেনে ছেড়েছি । লঞ্চগুলোয় যে পরিমাণ যাত্রী ধারণক্ষমতা, আমরা সে পরিমাণ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হই।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মো.শাহ আলম বলেন, ঈদুল আজহার পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে শুক্রবার সকাল থেকে অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “গতদিন দুই ধরে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। লঞ্চঘাটে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত খুবই শান্তি শৃঙখলার মধ্যে যাত্রীরা যেতে পারছেন।তাবে এখন যাত্রীদের চাপ আগের তুলনায় অনেক কম।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন,ঈদ আনন্দ উপভোগ করে যাত্রী সাধারণ ঢাকামুখী হয়েছে। লঞ্চঘাটে যাত্রী সাধারণের চাপ যচেষ্ট বৃদ্ধ পেয়েছে। তারা নিরাপদে ঢাকায় ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, রোভার স্কাউটস, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পৌরসভার সমন্বয়ে লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ লঞ্চ চালু রেখেছি। যাত্রীদের মাঝে সচেতনার অভাবে রয়েছে। তারা আরেকটু সচেতন হলে ভাল হতো।

শেয়ার করুন: