আলমগীর তালুকদার :
সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বিএনপির নেতা আনম এহসানুল হক মিলনের কচুয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়িতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, দুপুরের পরেই ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসে। তারপরেই সরকার দলীয় কিছু সস্ত্রাসী আমার বাড়ির চতুর পাশে মহড়া দিতে শুরু করে। আমার সাথে দেখা করতে আসা নেতাকর্মীদের হামলা করলে তারা দৌড়ে আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মেইন গেটের ফটক আটকিয়ে দিয়ে তাদরে জীবন রক্ষা পায়। গেইট আটকানোর ফলে সন্ত্রাসীরা বাড়িতে প্রবেশ করতে না পেরে তারা বাড়ির মেইন গেইট ভাংচুর করে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আমাকে বাড়িতে থাকতে দিবে না, আমার বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীরা আসতে চাইলে তাদের মারধর করবে। আমাকে রাজনীতি করতে দিবে না। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। আমি বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না। বিষয়টি আমি কচুয়া থানার ওসিকে জানিয়েছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শুভজিৎ দাস জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ মাসনিগাছা একটি জানাযা অনুষ্ঠান শেষে রহিমানগর বাজারের ঈদ শুভেচ্ছা করতে আসবে। সংবাদ পেয়ে খাজুরিয়া লক্ষীপুর থেকে আমার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে রহিমানগর আসার পথে গোবিন্দপুর মিলনের বাড়ির সম্মুখে পৌছলে মিলনের সন্ত্রাসীরা আমার ছাত্রলীগের ভাইদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় মোস্তাকি মিরাজ , রাজু পাটোয়ারী, তানভীর সহ মিঠু গুরুত্বর আহত হন। আহতরা পার্শ^বর্তী শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই হামলায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ দুই নেতার উপর হামলা করে। পরে এলাকার উত্তোজিত জনতা তাদরে প্রতিহত করতে গেলে তারা দৌড়িয়ে মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।