কচুয়া পৌর নির্বাচনে প্রচারনায় এগিয়ে আ’লীগ,দলীয় কোন্দলে মাঠে নেই বিএনপি

চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভা নির্বাচন। ইভিএমে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৯ হাজার ভোটার ওইদিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পাঁচবছরের জন্যে ১জন মেয়র,৩জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৯জন সাধারন কাউন্সিলর নির্বাচন করবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন ,সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৩টি পদের বিপরীতে ৮জন ও সাধারন কাউন্সিলর ৯ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ৪৪ জন।

আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মেয়র নাজমুল আলম স্বপন নৌকা ,আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব প্রাঞ্জল মোবাইল প্রতীক ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছে। নির্বাচনকে ঘিরে পৌরসভার সর্বত্র ব্যানার ,পেষ্টুনে ছেয়ে গেলে দুএকটি স্থান ছাড়া কোথায় পেস্টার চোখে পড়েনা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাইকিংয়ে ভোট প্রচারনার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীগন উঠান বৈঠক,কর্মী সভা ও গনসংযোগে করে চলছে। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নাজমুল আলম স্বপন উঠান বৈঠক,গনসংযোগের মাধ্যমে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রর্থনা করে চলছেন।

নাজমুল আলম স্বপন বলেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পৌরসভার অবকাঠামো খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে ,এ উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে জনগন আবারও আমাকে নির্বাচিত করবে। বিরোধী দল বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারনে নির্বাচনী প্রচারনায় পিছিয়ে ।

অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হুময়ুন কবির প্রধানের প্রচারনা তেমন একট চেখে পড়ছেনা। তিনি জনান জানান, রাতের অন্ধকারে কেবা কারা তার পেষ্টার ছিড়ে তুলে ফেলে, দলীয় কোন্দলের বিষয়টি শিকার করে বলেন বিষয়টি সহসা সমাধান হয়ে যাবে। তিনি আশাবাদী বেগম খালেদা জিয়া ও শহিদ জিয়ার সৈনিকরা ধানের শীষের প্রতীকের বিষয় সকলে ঐক্যবদ্ধ এবং সকলে মিলে ধানের জয়ের জন্য এক হয়ে কাজ করবে। সাধারন ভোটরগন যদি তাদের ভোট সুষ্ঠভাবে দিতে পারে তাহলে জয় আমাদের নিশ্চিত হুমাযুন কবির প্রধান প্রশাসনের নিকট অবাধ গ্রহনযোগ্য ভোট গ্রহনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতীক আহসান হাবীব প্রানজল বলেন,বিএনপির প্রার্থীকে তাদের কর্মফলের জন্য মানুষ তাদেরকে গ্রহন করবে না । আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যিনি আছেন তিনি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন পৌরবাসীকে উন্নয়নমূলক কাজ করে দেখাতে পারেননি তাই আমি মনে করি ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে আমার মোবাইল প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগন আমাকে জয়যুক্ত করবে।

Loading

শেয়ার করুন: