‘কমান্ডো’ ছবি নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রযোজক মোঃ সেলিম খানের বিবৃতি

আমি মোঃ সেলিম খান, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে একজন ক্ষুদ্র সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এ জন্য আমার নিজস্ব অর্থায়নে নিজের এলাকায় নির্মাণ করেছি দু’টি মসজিদ। এছাড়া একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, মোক্তব নির্মাণ ও পরিচালনায় ইতিমধ্যে আমার সাধ্যমত সহায়তা করেছি এবং এখনো করছি। ধর্মীয় শিক্ষা উন্নয়নের জন্য আমি আমৃত্যু কাজ করে যাবো।

আমার একাধিক ব্যবসা ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজের মধ্যে সিনেমার ব্যবসাও রয়েছে। শান্তির ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত আসবে, কিংবা ইসলাম ধর্মের অবমাননা হবে, এমন কোনো কাজের সাথে আমি কিংবা আমার প্রতিষ্ঠান জড়িত নই। কখনো থাকবেও না। ‘কমান্ডো’ সিনেমার গল্পে উঠে এসেছে কীভাবে শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম ব্যবহার করে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো হচ্ছে। কারণ, আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, ইসলামই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শান্তির ধর্ম এবং প্রকৃত কোনো মুসলমান জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত থাকতে পারে না।

সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনা, হত্যা, রাহাজানি, বিভেদ, অনৈক্য, হিংসা-বিদ্বেষ, নিপীড়ন ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে এবং হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইসলামের শত্রুরা সন্ত্রাসবাদ করে ইসলামের তকমা লাগাচ্ছে। যার কারণে শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে অপপ্রচারে বিরুদ্ধে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার জন্য ‘কমান্ডো’ ছবি নির্মাণে আগ্রহী হয়েছিলাম। যাতে উঠে আসবে প্রকৃত সঠিক তথ্য।

সাম্প্রতিক সময়ে কামন্ডো সিনেমার টিজার প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় সুপার স্টার দেব-এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে। মাত্র ৬০ সেকেন্ডের টিজারটির কিছু সংলাপ ও দৃশ্য দেখে ইসলাম ধর্মের অবমাননা কিংবা কুটুক্তি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠায় টিজারটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে, আমি কিংবা আমার প্রতিষ্ঠান ইসলাম ধর্মের অবমাননা হবে, এমন কোনো কাজের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই।

ছবি নির্মাণের পর নিয়মানুযায়ী সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হবে। ইসলাম বিদ্বেষী কোনো কিছু থাকলে সেন্সর বোর্ডই তার ছাড়পত্র দিবে না। কমান্ডো সিনেমাটির এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। কমান্ডো সিমেনার প্রযোজক হিসেবে আমি বলতে চাই, ইসলাম বিদ্বেষী কোনো কিছুই নেই এবং থাকার প্রশ্নই আসে না কামন্ডো সিনেমায়। দয়া করে এ ব্যাপারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

Loading

শেয়ার করুন: