চাঁদপুরে অ্যাম্বুলেন্সের গাফিলতির কারণে রাস্তায় প্রাণ গেল শিশুর

অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির পরিচালিত সিরিয়ালের গাড়ী না নিয়ে অন্য অ্যাম্বুলেন্স নেওয়ায় গাফিলতির কারণে রাস্তায় প্রাণ গেল ১৬ দিনের শিশু আফরোজার। ২৯ মার্চ সোমবার বিকেলে চাঁদপুর থেকে ঢাকা হাসপাতালে নেওয়ার পথে কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে শিশুটির মৃত্যু হয়।

শিশু আফরোজা চাঁদপুর শহরের মধ্য ইচলী শেখ বাড়ির রাজু শেখের প্রথম সন্তান। রাজু শেখ স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপের দোকানে কাজ করে। শিশুটির করুন মৃত্যুতে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।

শিশুটির নানা সাহেব আলী জানায়, আমার নাতনীর ঠান্ডা জনিত কাররণ চিকিৎসক মাহবুব আলী ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা নাতনীকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক কাশেমকে ফোন করি। কাশেম ঢাকা থাকায় চালক নাঈম কে রোগীকে ঢাকা নেওয়ার জন্য পাঠায়। তবে নাঈম চাঁদপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সিরিয়ালের গাড়ী না নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

শহরের ট্রাকরোড এলাকায় সমিতির নেতৃবৃন্দ অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে চালককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে চালক নাঈম ঢাকা যাবে না বলে মতলব আড়ং বাজার পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় চাঁদপুরে চলে আসে। এর মধ্যে শিশু আফরোজার নাকে মুখে রক্ত বের হতে থাকে।

তিনি আরও জানায়, চাঁদপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির সিরিয়ালের গাড়িটি বিশ্বজিৎ নামের চালক সদর হাসপাতাল থেকে রওনা হয়ে শহরের সার্কিট হাউজের সামনে থেকে শিশু আফরোজা কে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঢাকার কাঁচপুর ব্রিজের কাছে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে পরিবারের সদস্যরা জানায়। সমিতির নেতৃবৃন্দের গাফিলতির কারনে আমাদের ২ ঘন্টা দেরি হয়।

চাঁদপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন মিজি জানায়, বাদীর সাথে বসে আমরা বিষয়টি সমাধান করবো।

প্রসঙ্গত , রাতেই শিশু আফরোজাকে নিজ বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। চাঁদপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির গাফিলতির কারনে এই ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। এই ধরনের কার্যকলাপ না করার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে কয়েকবার বলা হয়। তবে কেউ তা মানছে না।

Loading

শেয়ার করুন: