চাঁদপুরে একদিনে ১০জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ

মেঘনাবার্তা রিপোর্ট :

চাঁদপুরে দশজনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলা থেকে ২জন করে করোনার উপসর্গ থাকা লোকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষ ব্যবস্থায় শুক্রবার এসব নমুনা কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস হয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে।

৩ এপ্রিল শুক্রবারে একযোগে এই ১০জনের করোনা টেস্ট করা হবে। কাল শনিবার এসব নমুনা টেস্টের রিপোর্ট জানা যাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনোলজিস্টের মাধ্যমে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব টেকনোলজিস্টকে ইতোপূর্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এ সব তথ্য জানান।

দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্তের পর এটাই চাঁদপুরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোকের একযোগে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের ঘটনা।

আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, সদর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার মিডিয়া (নমুনা সংগ্রহের মালামাল) এসে পৌঁছলেও করোনার উপসর্গ থাকা কোনো লোক না পাওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

তিনি বলেন, এখন থেকে করোনার উপসর্গ (জ্বর/সর্দি, কাশি, গলাব্যাথার সাথে শ্বাসকষ্ট) থাকা কোনো লোক/রোগী পেলে আমরা তার করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করব।

নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ ও অন্যান্য সরঞ্জামের (মিডিয়া) পর্যাপ্ত স্টক না থাকায় জেলার তিনটি (কচুয়া, শাহরাস্তি, মতলব উত্তর) উপজেলায় বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি।

যেসব উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় সেগুলো হচ্ছে- চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ।

তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মিডিয়া প্রাপ্তি সাপেক্ষে শুক্রবার থেকে প্রতিদিন চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলায় ২জন করে করোনার উপসর্গ থাকা লোকের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, কেবলমাত্র মিডিয়ার সংকট হলে এবং উপসর্গ থাকা লোকের সংকট হলে এর ব্যত্যয় ঘটবে।

সিভিল সার্জন জানান, চাঁদপুরে সংগৃহীত ১০জনের নমুনা শুক্রবার সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় কুমিল্লা পাঠানো হবে। কুমিল্লার সিভিল সার্জন অফিসে চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সকল সংগৃহীত নমুনা একযোগে ঢাকা পাঠানো হবে। এসব নমুনা টেস্ট করে শনিবার ফলাফল জানানোর কথা রয়েছে।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন ওইদিনের মধ্যে প্রত্যেক উপজেলা থেকে কমপক্ষে দুইটি করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এই ১০জনের নমুনা টেস্টের ফলাফল পেলে চাঁদপুর জেলার করোনা পরিস্থিতির একটি ধারণা পাওয়া যাবে। আরো ক’দিন টেস্ট হলে জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যাবে।

এর আগে গত মার্চ মাসে চাঁদপুর জেলার মাত্র ২জনের করোনা টেস্ট করা হয়। তবে দু’জনের টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

Loading

শেয়ার করুন: