চাঁদপুরে ৩ জেলের জেল

চাঁদপুর নৌ-সীমানার ভেতর সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ইলিশ ধরার অপরাধে গত ২৪ ঘন্টায় (১১ এপ্রিল) ১০টি অভিযান,২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ জন অসাধু জেলের জেল জরিমানা ও জেলে প্রেরণ করেছে জেলা টাস্কফোর্স। অভিযান চলবে আগামি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ।

এসব অভিযান মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের দিক-নির্দেশনায় পরিচালনা করছেন ম্যাজিস্ট্রেট,নৌ-পুলিশ,কোষ্টগার্ড এবং মৎস্য বিভাগ।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ ঘন্টায় ১১ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ৩ জন জেলের জেল ও ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স এর নিয়মিত এ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনারগণ এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আরও জানা যায়, জেলা ট্রাস্কফোর্সের নিয়মিত টহল অভিযানকালে জাটকা জব্দ হয়েছে ১.৯১ মে.টন ও মাছ জব্দ হয়েছে । নিষিদ্ধ কারেন্টজাল জব্দ হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার মিটার ।

জব্দকৃত এসব জালের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। মামলার সংখ্যা ৮ টি ।

এ ব্যপারে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আসাদুল বাকী বলেন,‘অসাধু জেলেদের কোনভাবেই জাটকা শিকার হতে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও তারা নদীতে জাটকা শিকারে নেমে পড়ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। তবুও আমরা জেলা টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে নদীতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। জাটকা নিধনকারী চক্রের বিরুদ্ধে আগামি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।’

চাঁদপুর জেলা কোষ্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে.আসাদুজ্জামান বলেন,‘চার পয়েন্টে আমরা অসাধু জেলেদের থামিয়ে দিতে টহল দিচ্ছি। তবুও অতিউৎসাহী কিছু জেলে নদীতে জাটকা নিধনে নামছে। আমরা তাদের প্রতিহত করতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’

প্রসঙ্গত,নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে জাটকা আহরন,পরিবহন,মজুদ,ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবুও কতিপয় অসাধু চক্র নদীতে জাটকা নিধন করতে নানা অপকৌশল ব্যবহারে করেছে।

জাটকা নিধনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলায় ৫১ হাজার ১’শ ৯০ জন নিবন্ধিত জেলেকে ৪০ কেজি হারে চাল দেয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ মাস নদীতে জাটকাসহ অন্যান্য মাছ ধরতে না নামার শর্তে জেলেদের এ খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে।

Loading

শেয়ার করুন: