চাঁদপুর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ৬৪টি সিসি ক্যামেরা যুক্ত করেছি : পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেছেন, চাঁদপুর শহরকে এক সময় ‘দিনের চাইতে রাতের চাঁদপুর বেশি নিরাপদ’ বলা হত। এখন আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শহরের মেইন সড়কগুলোতে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা যুক্ত করেছি। এতে দিন ও রাতে নিরাপদ থাকবে চাঁদপুর শহর। আর এ জন্য শহরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিসি ক্যামেরা সংযুক্তকরণ বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশিং এর অঞ্চল প্রধানসহ অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, আমরা শহরের প্রধান কেন্দ্র ও সড়কগুলোতে ক্যামেরা বসিয়েছি। আপনারা পাড়া-মহল্লায় বসানোর কাজটি করবেন। এটি কোন জটিল কাজ নয়। শহরের গুয়াখোলার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে ৩৫টি ক্যামেরা বসিয়েছেন। যার ফলে কিছুদিন আগে জেলা জজের বাড়িতে যে চুরি হয়েছে, সেই চোরটাকে খুব সহজেই ধরাগেছে এবং মালামালগুলোও উদ্ধার হয়ছে। ওই এলাকায় এখন মাদকের প্রবনতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও শহরের বাবুরহাট এলাকায় ব্যবসায়ীরা ওই এলাকার নিরাপত্তার জন্য ২৬ ক্যামেরা বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। এভাবে সকল পাড়া মহল্লা সিসি ক্যামেরার আওতায় আসলে অপরাধমূলক কাজ অনেকাংশে কমে আসবে। একজন অভিভাবক তার সন্তানের অবস্থান জানতে পারবেন।

পুলিশ সুপার বলেন, সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল করার জন্য আপতাত পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি এবং পৌরসভায় ১টি বড় মনিটর থাকবে। পর্যায়ক্রমে পুরাণ বাজারকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শহরের অনেক বাসা বাড়িতে নিজস্ব উদ্যোগে অনেকেই ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। মার্কেট এবং ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অনেকে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। শহরের ব্যাংকগুলোকে আমরা বলেছি, তাদের যে আভ্যন্তরিন ক্যামেরা রয়েছে, পাশাপাশি তারা যেন বাহিরেও ক্যামেরা স্থাপন করেন। ক্যামেরা থাকলে যে কোন ঘটনা খুব দ্রুত চিহ্নিত করা যায় এবং আমাদের মামলা নিতেও সহজ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) মো. আসাদুজ্জামান, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হানরুর রশিদ, কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর শহরের সভাপতি শেখ মনির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, কমিউনিটি পুলিশিং অঞ্চল-১ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. জাহাঙ্গীর আলম, অঞ্চল-২ সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, অঞ্চল-৩ সভাপতি ডাঃ এস এম শহীদুল্লা, সাধারণ সম্পাদক সুফি খায়রুল আলম খোকন, অঞ্চল-৪ সভাপতি-আলহাজ কাজী মাহাবুবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু, অঞ্চল-৫ সভাপতি কাজী শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, অঞ্চল-৬ সভাপতি এ.এস.এম শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আব্দুর রহমান গাজী, অঞ্চল-৭ সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, অঞ্চল-৮ সভাপতি মো. নকিবুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক-মো. ফরিদ আহমদ বেপারী, অঞ্চল-৯ সভাপতি হাবিবুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন খান, অঞ্চল-১০ সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ভুঁইয়া, অঞ্চল-১১ সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন কনা পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, অঞ্চল-১২ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নুর খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবি জমাদার, অঞ্চল-১৩ সভাপতি ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান উদ্দিন খান, অঞ্চল-১৪ সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক সুকমল কর রামু, অঞ্চল-১৫ সভাপতি মো. আনিসুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন শেখ,অঞ্চল প্রধানসহ অন্যান্যরা।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার উপস্থিত কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দকে সিসি ক্যামারের স্থানগুলোর একটি স্ক্যাচ ম্যাপ দেখান। সবশেষে তিনি সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Loading

শেয়ার করুন: