চাঁদপুর শহরে দুই নারীর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা দুজনেই তিন সন্তানের জননী ছিলেন। দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগে ভুগছিলেন ছিলেন। তাদের স্বামীরা ভালো চিকিৎসা করাতে কার্পণ্যতা করেননি। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। তারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মা হারা সন্তানের কান্নায় চাঁদপুরের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। আত্মীয়-স্বজনদের চোখে মুখে পানি টলমল এবং শোকার্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
এরা হলেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বাবুলের স্ত্রী ছালমা রহমান (৫১)। তিনি ১৩ আগস্ট রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথেই ইন্তেকাল করেছেন বলে তার স্বামী চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যু কালে স্বামী, ২ মেয়ে ১ ছেলে ও বাবা-মা রেখে গেছেন।
মরহুমা ছালমা রহমানের জানাজার নামাজ ১৪ আগস্ট শনিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অপরদিকে গাছতলা দরবার শরীফের মাওলানা খাজা ওয়ালি উল্লাহ পীর সাহেবের ২য় কন্যা তানজিমা রেদওয়ান (৩৫) ১৪ আগস্ট ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তার স্বামী রেদওয়ান আহমেদ। তিনি কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৬ ব্যাংক কলোনী মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠ সংলগ্ন নুশীন ইলেকট্রনিক্স এর মালিক এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান (সাবেক) প্রফেসর মাওলানা আব্দুর রশিদ সাহেবের প্রথম পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ৩ কন্যা সন্তান, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
মরহুমা তানজিমা রেদওয়ান এর নামাজের জানাজা চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মসজিদে গোর-এ-গরিবা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ওই দিন বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়। পরে ব্যাংক কলোনী পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ দুই নারীর নামাজের জানাজায় বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট আলেম, মসজিদের ইমাম এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অংশ নিতে দেখা গেছে।
