চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সদস্য সচিব মরহুম ইয়াহিয়া কিরনের স্মরণ সভা

স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদপুর সাংষ্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সদস্য সচিব ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম ইয়াহিয়া কিরণের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ও চাঁদপুর থিয়েটার ফোরামের যৌথ আয়োজনে স্মরণ সভায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চাঁদপুর জেলা শাখার সভপতি তপন সরকারের সভাপতিত্বে ও স্বরলিপি নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম.আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতেই মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক আব্দুর রহমান গাজী। এরপর এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, মরহুম ইয়াহিয়া কিরন ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি এতোটাই সাংষ্কৃতিক বান্ধব ব্যক্তি ছিলেন, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ইয়াহিয়া কিরন ছিলেন নিঃস্বার্থ পরায়ন ব্যক্তি। তিনি সকল সংগঠনকে নিজের সংগঠন মনে করতেন। ইয়াহিয়া কিরন চাঁদপুর সাংষ্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন চর্চাকেন্দ্রের একজন প্রাণপুরুষ। তিনি নিজের বাড়ি নির্মাণ করতেও এতোটা সময় ব্যয় ও পরিশ্রম করেননি, যা চাঁদপুর সাংষ্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র নির্মাণ করতে গিয়ে ব্যয় করেছিলেন।

বক্তারা বলেন, তিনি চাঁদপুরের সাংষ্কৃতিক কর্মীদের মাঝে যুগযুগ ধরে বেঁচে থাকবেন। আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে আমাদের এতোটা মিল ছিল না, যতটা ইয়াহিয়া কিরনের সাথে ছিল। একজন মানুষ এতোটা সৎ হয় কীভাবে তা আমাদের বুঝার ক্ষমতা নেই। ইয়াহিয়া কিরন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৯ বছর মাঠ ও মঞ্চ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পরবর্তী ২ বছর আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ ১১ বছর তিনি বিজয় মেলার মাঠে কীভাবে সময় দিয়েছেন তা আমরা অনেকেই জানি। চাঁদপুর সাংষ্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রে যেন এমন মানুষদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রাখা হয়, তবেই আমরা তাদেরকে স্মরণ করতে পারবো। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এ স্মৃতিচিহ্ন করা প্রয়োজন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, মরহুম ইয়াহিয়া কিরনের বড় ভাই সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া জীবন, সাংষ্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট, চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরন, মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, চতুরঙ্গ সাংষ্কৃতিক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার ও মহাসচিব হারুন আল-রশীদ, সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমির অধ্যক্ষ কন্ঠশিল্পী রূপালী চম্পক, চতুরঙ্গের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা সাহা, নৃত্যধারার কর্মকর্তা কণ্ঠশিল্পী ইতু চক্রবর্তী, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ অনিমা সেন চৌধুরী, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সুন্দর ম-ল, সুরধ্বনি সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ অনিতা নন্দী, পুনাকের অধ্যক্ষ শিপ্রা মজুমদার, চাঁদপুর ড্রামার সাধারণ সম্পাদক মানিক পোদ্দার, অনুপম নাট্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পদক গোবিন্দ মন্ডল, লেখক ও কবি শামীম আহমেদ খান, গণসঙ্গীত শিল্পী মনোজ আচার্যী, সাংবাদিক ও নাট্য অভিনেতা একে আজাদ, সাংবাদিক কেএম মাসুদ, কবি ও লেখক জসীম মেহেদী, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বিশ্বাস, জাগরণী সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি লেখক জাহাঙ্গীর হোসেন, মোহনবাঁশি স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত দত্ত, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিংকু, কন্ঠশিল্পী শুভ্র রক্ষিত ও মরহুম ইয়াহিয়া কিরনের বড় ছেলে সাংবাদিক শাহরিয়া পলাশ প্রমুখ।

Loading

শেয়ার করুন: