আনোয়ারুল হক:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় থমকে গেছে চিরচেনা জনজীবন। সড়ক জনপদ জনশূন্য হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। চাঁদপুরে নিত্য প্রয়োজনীয়ন পন্যের দোকান ছাড়া সব বন্ধ রয়েছে। প্রতিনিয়ত রাসাতায় টহল দিচ্ছে যৌথ বাহিনীর গাড়ী। সড়ক মোড়, বিপনী বিতান কোথাও তেমন কোন ভীর চোঁখে পড়ছে না।
২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সরকারের দেওয়ার নির্দেশনা জারির দ্বিতীয় দিনে সাধারন মানুষকে তেমন রে হতে দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে রেল, লঞ্চ ও দূর পাল্লার বাস যোগাযোগ। শহরে দুই একটা বেটারি চালিত অটো ও রিক্সা চলছে। বন্ধ রয়েছে সকল খাবার হোটেল, মোড়ের টি স্টল। খোলা রয়েছে ঔষধের দোকান, কিছু মুদি দোকান। কিছু মানুষ বের হচ্ছেন নিত্যদ্রব্য বিশেষ করে ঔষধ ও খাদ্যপন্য কেনার জন্য।
তবে এতসব কঠোরতার পরও খেটে খাওয়া কিছু মানুষ বিশেষ করে রিক্সা চালক, ভ্যানে ফল বা তরকারি বিক্রেতা এরা রাস্তায় নেমেছে পেটের তাকিদে। ক্রেতা শূন্য হওয়ায়নপন্য নিয়ে রাস্তায় নেমেও হকাররা পড়েছেন বিপদে।
রিক্সা চালক রহিম খান বলেন, কি করমু বলেন জানি ভাইরাস অাইছে। অামরাতো দিন আনি দিন খাই। ঝুকি আছে প্রশ্ননকরলে বলেন, জানি বিপদ অাছে তারপর পেটের তাগিদে গাড়ী লইয়া বের হইছি।
তরমুজ বিক্রেতা ফয়সাল বলেন, ঘরে বউ বাচ্চা ও মা আছে তাই কয়টা তরমুজ নিয়া বের হইছি। এভাবে বেশী দিন চললে কি হইবে আল্লাহ জানে। পেটের টানে বের হইছি নাইলে বের হইতাম না।
সরকারের নির্দেশনা জারি দ্বিতীয় দিনে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাছিম উদ্দিন বলেন, সবাইকে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত। করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে রুপ নিয়েছে এর থেকে অভারকাম করতে হলে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্তক ও সচেতন হতে হবে। সরকারের নির্দেশনা কেউ যেন ঘর থেকেরবের না হয় যে যেখানে অাছে সেখানে অবস্থান করবে। এতে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষের কিছু কস্ট হলেও বৃহত্তর মানবজাতির স্বার্থে তাদেরও সহযোগিতা করা উচিত।