জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ জেলা প্রশাসককে বিদায়ী সংবর্ধনা

চাঁদপুর জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এর নেত্রকোনা জেলায় জেলা প্রশাসক হিসাবে বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, কাজ করতে গেলে আমাতের মধ্যে একটা সম্পর্ক হয়ে যায়, যা সারাজিবন থাকে। বর্তমান সসয়ে কাজ করতে অরেক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। সরকারের কাজ বাস্তবায়ন করতে হয়। আমাদের কাজে জবাবদিহিতা করতে হয়। আমাদের একটা গোল থাকে। সম্মানের সাথে কাজ সম্পন্ন করা। নিজের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হয়। বদলি আমাদের জন্যে একটি নিয়মিত বিষয়। যারা প্রথম স্টেশনে সফলতা অর্জন করতে পারে, তখনই আরেকটি স্টেশনে দেয়। আমাকে আরেক স্টেশনে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়ায় আমি ধন্যবাদ জানাই।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রত্যেকটারই একটা সিস্টেম আছে। সিস্টেমের বাইরে কোন কিছু করতে গেলেই সমস্যা হয়। প্রত্যেকটা দপ্তরের সাথে আমার সম্পর্ক আন্তরিকতার সম্পর্ক। সম্মানবোধ নিয়ে কাজ করতে হয়। এ জেলায় সবাই আমরা একটা টিম। টিম ওয়ার্কের কাজ সবসময়ই ভালো হয়। আইনের মধ্য থেকে এগিয়ে যেতে হবে। চেস্টা করেছি সঠিকভাবে সঠিক পথে কাজ করার জন্যে। সবাইকেও বলতাম নিয়মের মধ্যে কাজ করতে। আমি কাজ করতে গিয়ে সকল দপ্তরের সহযোগিতা পেয়েছি।

পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি বিদায় বলবো না আমি বলবো কর্মস্থলের পরিবর্তন। নিয়ে যাওয়ার জিনিস হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা। আমি বলবো তিনি তা অর্জন করে নিয়েছেন। সবসময়েই দুজনেই সম্বলিতভাবে কাজ করেছি। জেলা প্রশাসকের ইচ্ছার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাঁর ভালো কর্মের কারণেই আরেকটি জেলাতে জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি হয়েছেন। যোগ্য লোকদেরই ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কর্মের বাইরেও তাঁর সুন্দর একটা মন রয়েছে। ব্যক্তিগত জিবনেও তিনি একজন সফল ব্যক্তি।

সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী এর সঞ্চালনায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন, জেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামুসুদ্দোহা, নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন প্রমূখ।

বক্তারা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ভালো কাজ যারা করেন তারাই এধরণের স্বীকৃতি পায়। কাজ করতে হয়ে অনেক কাছাকাছি চলে আসেন স্যার। বদলীটা মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্যার সবসময় বলতেন আইনসম্মত করে কাজ করবেন। স্যার ছিলেন একজন প্রকৃত নির্দেশক। তিনি শুধু চাঁদপুরেই নয় সারাদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একজন উন্নয়নবান্ধব কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি সবসময়ই চেষ্টা করতেন। তিনি চাঁদপুরবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। অল্পদিনেও যে অনেক কিছু করা যায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।

Loading

শেয়ার করুন: