দুশ্চিন্তায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে খামারিরা

মনিরা আক্তার মনি:

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির আগে লকডাউন শুরু হতে যাওয়ায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাজারো খামার মালিক। সারা বছর খামারে পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার পর এখন পশুর বাজার ও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে বিশাল গরু ও ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান। তিনি জানান, এবার কোরবানি সামনে রেখে লাভের আশায় তারা ৫৩টি গরু ও ২৩টি ছাগল প্রস্তুত করেছেন।

বিনিয়োগও করেছে প্রচুর অর্থ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এবং লকডাউন শুরু হতে যাওয়ায় এখন গরু ও ছাগলের বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পশুর দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি জানান, যদি কোরবানিতে পশুর হাট না বসে তাহলে ন্যায্য দাম তারা পাবেন না। এতে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিতে পড়তে হবে।

একই কথা জানান রাঢ়ীকান্দি গ্রামের প্রান্তিক খামার মালিক আবদুল আজিজ। তিনি জানান, কোরবানি সামনে রেখে পরিবারের সর্বস্ব ব্যয় করে তিনি পাঁচটি গরু মোটাতাজা করেছেন। নিজে ঠিকমতো না খেয়ে গরুর পেছনে ব্যয় করেছেন অর্থ ও শ্রম। এখন দেশের যে অবস্থা, তাতে সঠিক দাম না পেলে পথে বসতে হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। শুধু আব্দুল আউয়াল খান বা কালু মিয়া নয়, একই রকম শঙ্কা ব্যক্ত করেন মতলভ উত্তরের হাজারো খামার মালিক।

মতলব উত্তর উপজেরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন জানান, গত বছরও কোরবানির সময় করোনা পরিস্থিতি ছিল। এবারও এ পরিস্থিতিতে ধর্মীয় অনুভূতি রেখে খামার থেকে গরু সংগ্রহ করে কোরবানি দিবে। অনলাইন সিস্টেমে ব্যাপক আকারে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে এবং এতে খামার মালিকরা তাদের প্রস্তুত করা পশুর ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Loading

শেয়ার করুন: