
স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর নূরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা এবং পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে পুরান বাজারে অবস্থিত অত্র বিদ্যালয়ে মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
তিনি বলেন, স্কুলটা আমার একটা আবেগের জায়গা,কারণ আমার বাবা এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। বাবার মুখে এই স্কুল সম্বন্ধে অনেক গল্প শুনেছি। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। বাবা কিছুদিন আগেই এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। বাবা বলেছিলেন এই স্কুলটা প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রথমত ছিল মাদ্রাসা,পরবর্তীতে চিন্তা আসে যে মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় মিক্স করা যায় কিনা। এরপর এই স্কুলকে মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর কথা করা হয়। এরকম অনেক গল্প আমি শুনেছি বাবার মুখ থেকে।
তিনি আরো বলেন, দুঃখ প্রকাশ করে জানাচ্ছি যে, আপনাদের স্কুলের জায়গাটার সাথে পৌরসভার সাথে দীর্ঘদিনের একটা সমস্যা চলছে। এরকম অনেকেই হয় যে একজনের জায়গা আরেকজনের নামে উঠে যায়, তবে ইনশাল্লাহ প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি আশাবাদী এই সমস্যাটা খুব শীঘ্রই সমাধান করে দিব। সর্বশেষ যদি কোন উপায় না থাকে তারপরেও পৌরসভা এ জমির মালিক থেকে স্কুলকে এ জায়গা দিয়ে দেব। এত বড় মাঠ,এত বড় জায়গা থাকা সত্ত্বেও এই স্কুলটিকে কলেজ করার চিন্তা করছেন না কেন? এখন দেখি আপনাদের মাঝ থেকেই প্রস্তাব চলে এসেছে। কাছাকাছি কলেজ, যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপত্তা আবার খরচের চিন্তা করে অনেক মেয়েরা আজকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য অথচ এই মেয়েটা ভালো লেখাপড়া করে অনেক বড় জায়গায় যেতে পারত, অনেক বড় জায়গায় গিয়ে আমাদের দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারত। সে কারণেই আমি বলি এই স্কুলেটা যদি কলেজে রূপান্তর হয় তাহলে মনে হয় অনেক অভিভাবকদের মেয়েদের লেখাপড়া করানোর চিন্তাটা বেড়ে যেত।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এম মানসুর আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মহব্বত হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসান আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসান ইমাম বাদশা, প্রধান শিক্ষক সুলতানা নাজমে আরা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দশম শ্রেণীর ছাত্র আরিফ রাজ ও গীতা পাঠ করেন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র প্রিন্স চন্দ্র দাস।