পালবাজার পরিদর্শন করলেন মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল সরজমিনে গিয়ে জনগণের সমস্যা দেখছেন। সমস্যা সমাধানেরও উদ্যোগ নিচ্ছেন। তাৎক্ষণিক যেগুলো সমাধানের যোগ্য সেগুলো সমাধান করে দিচ্ছেন। আর যেসব সমস্যার সমাধানের জন্যে সময় দেয়া প্রয়োজন সেগুলোর জন্যে সংশ্লিষ্টদের সময় বেঁধে দেন। এমন জনহিতকর কাজ তিনি প্রতিদিনই কোনো না কোনো সেক্টরে করে যাচ্ছেন।

তিনি বুধবার সকালে চাঁদপুর শহরের পালবাজার পরিদর্শন করেন। বাজারের ভেতরে ঢুকে তিনি চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখেন। মানুষের হাঁটাচলার পথে দোকানের মালামাল রেখে গলিপথকে খুবই সঙ্কুচিত করে ফেলেছে। আবার কেউ কেউ তার দোকানের অংশের বাইরেও হাঁটাচলার পথ দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এমন চিত্র পালবাজারের ভেতরে কাঁচামালের আড়ত এবং মুদি দোকান এলাকায় বেশি দেখা যায়।

পালবাজারের কাঁচামালের আড়ত বকুলতলা রোডের পাশে। এই রোডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রোড। বিশেষ করে রেলওয়ে কাঁচ্চা কলোনী এলাকা,ক্লাব রোড,জামতলা,নিশিরোড,কবরস্থান রোড,মাদ্রাসা রোড, রেলওয়ে কলোনী, জেটিসি কুলিবাগান, বড় স্টেশন এবং যমুনা রোড এলাকাসহ আশপাশে যারা বসবাস করেন তাদের স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের অধিকাংশই লেডি প্রতিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। তারা এই বকুলতলা রোড দিয়েই স্কুলে আসা যাওয়া করে থাকে। এছাড়া বকুলতলা এলাকায় আরো অনেক ভালো ভালো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসবাস করেন। তারা এই বকুলতলা রোডটিই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু দেখা গেছে যে, কাঁচা মালের আড়তদাররা তাদের তরিতরকারি দোকানের বাইরে রেখে এবং ভ্যানগাড়ি ও অটোবাইক ঢুকিয়ে পুরো রাস্তাটি দখল করে থাকে। তখন আর কোনো মানুষের পক্ষে এই রোড দিয়ে হাঁটাচলা সম্ভব হয়ে উঠে না। এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে দীর্ঘদিন যাবত। ইতিপূর্বে অনেকবার পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয় নি। বর্তমান মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের কাছে জনগণ প্রত্যাশা করে তাঁর দ্বারা এই বকুলতলা সড়কটি জনগণের হাঁটাচলার জন্যে একেবারেই নির্বিঘœ হয়ে উঠবে এবং সড়কের পাশে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে। আর পুরো বাজারটি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।

জনগণের এই প্রত্যাশার আলোকেই মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল পালবাজার এবং বকুলতলা রোড এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি দোকানদারদেরকে গলিপথ দখল করে দোকানের মাল না রাখতে নির্দেশ দেন। একই সাথে যারা পৌরসভার জায়গা দখল করে তথা রাস্তা দখল করে দোকানের বর্ধিত অংশ গড়ে তুলেছে,তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া যারা ফুটপাত দখল করে দোকানের মালামাল রাখছেন তাদের দিয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন। আবার কেউ কেউ নিজের দোকানের ময়লা আবর্জনা দোকানের সামনে রাস্তায় ফেলায় তাদের দ্বারাই সে ময়লা তুলতে বাধ্য করেছেন মেয়র নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। তাঁর এ সব কাজ সর্ব মহলে প্রশংসনীয় হয়েছে। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের এমন জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

Loading

শেয়ার করুন: