প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হল শারদীয় দুর্গোৎসব

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্য ঘোষপাড়া, মেরকাটিজ রোড নবতারা, হরিজন কলোনি, নিতাইগঞ্জ, অনুকূল পল্লী,নিতাইগঞ্জ দাস বাড়ি, পানগোলা কালী মন্দির, বারোয়ারি, ঘোষপাড়া, দাসপাড়া, পালপাড়া ও মৈশালবাড়ি সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপ পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ এলাকা দিয়ে নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়।

সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় টিএন্ডটি সংলগ্ন রেড ক্রিসেন্ট ঘাট দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে। পুরান বাজারের বারোটি মন্ডপের মধ্যে সাতটি পূজামণ্ডপের প্রতিমা এই স্থান দিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় বলে নিতাইগঞ্জ মন্দির ও পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ দেবনাথ জানিয়েছেন।

বিসর্জনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই রাশেদুজ্জামান, পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কেএম সোহেল রানার নেতৃত্বে সঙ্গীও পুলিশ ফোর্স ও স্থানিয় কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা।

প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহাসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য,চণ্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত ১১ অক্টোবর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়। পরবর্তী ৪ দিন পুরাণবাজারসহ জেলাব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনায় ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে।

এ দিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিটি মণ্ডপ ও মন্দিরে ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা, ধূপ আরতি ও দেবী দুর্গার পূজা-অর্চনায় কেবলই ছিল মায়ের বিদায়ের সুর। পূজামণ্ডপগুলোয় সারাবিশ্বের কল্যাণ, করোনামুক্ত বিশ্ব ও সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন: