ফরিদগঞ্জে একটা বাল্ব ও ফ্যানের বিল ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা

আবদুল কাদির:

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধিন পল্লী বিদ্যুতের এক গ্রাহকের ব্যবহারিত মিটারে ভুতুরে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাহক ও স্থানীয়দের অভিযোগ ওই মিটারটিতে মাত্র একটি এনার্জি বাল্ব ও একটি ফ্যান ব্যবহার হয়,এতে এক মাসেই বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। কোন অগ্নিকাণ্ড বা ওয়ারিং এর ক্ষতি না হলেও সর্টসার্কিট হয়েছে বলে দাবি করছেন পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ।

ভুতুরে বিলের ঘটনা টি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের বেপারী বাড়িতে গৃহবধূ রুমা আক্তারের ব্যবহারিত পল্লী বিদ্যুৎ (হিসেব নং ০৩-৫৩৬-১১৭৮) নং মিটার টিতে।

সরে জমিনে ভুক্তভোগী গ্রাহক, বিদ্যুতের পূর্বের বিলের কপি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, গ্রাহক রুমা আক্তার গত ৫ বছর ওই মিটারটি ব্যবহার করে আসছেন, তিনি মিটারটিতে একটি ফ্যান ও একটি বাতি ও মোবাইল চার্জার ব্যবহার করে আসছেন।

প্রতি মাসে ১শ,১শ বিশ বা ১শ ৫০ টাকার মধ্যে বিলের সীমাবদ্ধতা ছিলো। তিনি নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল গুলো পরিশোধ করে আসছেন।

কিন্তু হঠাৎ করে গত চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারেন তার এ মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। এমন তথ্য পেয়ে তিনি ছুটে চলেন ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে, সেখানে গিয়ে কোন সমাধান মিলেনি বরং কতৃপক্ষের ব্যবহারে খুশি হতে পারেন নি বলে জানিয়েছে গ্রাহক রুমা বেগম ও তার বৃদ্ধ বাবা।

এদিকে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে রুমা আক্তারের ব্যবহারিত মিটারটিতে একটি ফ্যান ও একটি বাতি ছাড়া কোন মোটর বা অন্য কিছু ব্যবহার কিং বা সর্ট সার্কিট এর কোন আবাস পাওয়া যায় নি।

পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের দায়িত্বশিল কোন কর্মকর্তা ঘটনার স্থান পরিদর্শনে না গিয়ে দাবি করেছেন মিটারটিতে সর্ট সার্কিট হয়েছে। তাই এমন বিল এসেছে।

ভুতুরে বিলের শিকার রুমা আক্তার বিদ্যুৎ অফিসে সংলিষ্ট কর্মকর্তাদের আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি বিদ্যুতের এ মিটারটি অনেক কষ্টে নামিয়েছি। আমার স্বামী একজন শ্রমিক আমরা কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে জীবনে বেচে আছি। প্রতি মাসে আমগো বিল আসতো একশ টাকা থেকে দেড়ম টাকা। কিন্তু কেন মার্চ মাসে এতো টাকা বিল আসছে তা আমার জানা নেই।

পল্লী বিদুতের স্যারেরা আমার সাথে যে ব্যবহার করছে আমরা গরীব তাতে কি হইছে, আমরাও তো মানুষ। হেতারা আমগোরে বিল দিতাম কই অফিসেত্বে নামাই দিছে। আমরা একটা বাতি আর ফ্যান ছাড়া কোন কিছু চালাই না। আন্নেরাতো দেখছেন এছাড়াও আমাদের ঘরে আর কোন কিছু নাই। কিল্লাই বিল দিতাম? সরকারের কাছে বিচার চাই।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০২ এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসে কর্মরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নূরল হোসাইনের জানান, গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলে তো আর বিল আসে না, আমি খোঁজ নিয়েছি ওই খানে সর্ট সার্কিট হয়েছে। আমি বলে দিয়েছি গ্রাহককে বিল গুলো দিয়ে দেওয়ার জন্যে।

সর্ট সাকির্ট হয়ে শুধু বিল এসেছে,অগ্নিকাণ্ড,বাসার ওয়ারিং, মেইন সুইচ, মিটারের কোন ক্ষতি হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না আপনারা ইউএনও মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করেন, ইউএনও স্যার বিষয়টি জানেন এ বলে তিনি আর কথা বলেন নি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরির সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই। তিনি ডিজিএমকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে ডিজিএম গ্রহণ যোগ্য কোন উত্তর দিতে পারেন নি।

Loading

শেয়ার করুন: