ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:

ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের প্রবাসী আবদুল হান্নানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২৫) স্বার্নালংকার নগদ টাকা ও সন্তানসহ উধাহ হওয়ার ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে প্রবাসীর বড় ভাই আবদুল রহমান।এ ঘটনায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

ঘটনার বিবরনে জানাযায়, সাত বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের শোভান গ্রামের প্রবাসী আবদুল মমিনের কন্যা খাদিজা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আবদুল হান্নান প্রবাসে ছিলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের কার্য সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর আবদুল হান্নান দেশে এসে পারিবারিক ভাবে অনুষ্টান করে নিজ বাড়িতে স্ত্রী খাদিজা কে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তাদের সংসারে মরিয়ম আক্তার(৫) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

গত ২৪ অক্টোবর ২০২১ রবিবার আনুমানিক সকাল ৯ ঘটিকার সময় চিকিৎসার কথা বলে বাড়ি থেকে খাদিজা আক্তার বের হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা নিকট আত্বীয়দের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়ে কোথায় ও তাকে না পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন প্রবাসী আবদুল হান্নানের ভাই আবদুল রহমান। সাধারন ডায়েরির সুত্রধরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ৩১ অক্টোবর ঢাকা থেকে সন্তানসহ উদ্ধ্যার করে থানায় নিয়ে আসেন,পুলিশ উদ্ধার করে খাদিজার মায়ের জিম্মায় হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে আবদুল হান্নানের মা ফজিলতেন্নেছা (৬৫) বলেন, আমার ছেলের বৌ আলাদা থাকতো । আলাদা খাইতো আমাদের সাথে কোন বিরোধ ছিলনা। সে আমাদের কিছু না বলে আমার ছেলের সংসার ছেড়ে অন্য ছেলের সাথে চলে গেছে। চাচি রুপালি বেগম বলেন, প্রতিবেসী রাশেদ আমাদের বাড়িতে ঘন ঘন আসতো। সে সুবাধে তার সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে যায় খাতিজা। যার কারনে চিকিৎসার কথা বলে তার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। হান্নানের বড় ভাই আবদুর রহমান বলেন, আমার ভাই প্রবাসে থেকে যা আয় রোজগার করেছেন,সেসকল টাকা পয়সা স্ত্রী খাদিজা আক্তারের নিকট প্রেরন করে । আমার ভাইয়ের সকল টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংঙ্কার নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত রাশেদের পিতা মোস্তফা মিজি বলেন,আমার ছেলে ঢাকায় একটি মোবাইলের দোকানে চাকরি করতো সে সুবাদে ঢাকায় থাকে,গত দুমাস ধরে সে ঢাকায় আছে।

এবিষয়ে খাতিজা আক্তারের মা আমেনা বেগম বলেন, পালিয়ে যাওয়ার গঠনাটি সত্য নয়, পারিবারিক কলহজনিত অশান্তির কারনে সে কিছুদিন অন্যত্র আমার আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলো।

প্রবাসী হান্নানের স্ত্রী খাতিজা আক্তার বলেন, আমি কারো সাথে পালিয়ে যাইনি, আমি পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলাম । তারা (হান্নানের পরিবার) আমাকে দীর্ঘ সাত মাস যাবৎ আমার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি, তাই আমার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকায় আমার এক নিকট আত্মীয়ের কাছে ছিলাম। পরবর্তিতে খাদিজা আক্তার স্বীকার করে বলেন রাশেদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হতো,এ ঘটনায় রাশেদ জড়িত নয়।

ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই মো.মহিউদ্দিন বলেন,তারা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছিল। জিডির সুত্রধরে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

Loading

শেয়ার করুন: