
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
শ্রেণী শিক্ষক এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে তাই ব্যাহত শ্রেণী শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ স্কুল। শিক্ষকরা পরীক্ষার হলের দায়িত্বে রয়েছেন এমনি অভিযোগ তুলে বন্ধ রাখা হয়েছে সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ১১জন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৫জন এসএসসি পরীক্ষা কন্দ্রে নিয়োজিত থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল।
জানা গেছে,১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্প্রতিবার থেকে সারাদেশের ন্যায় উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পর্যায়ের ৫৭৪৮জন পরীক্ষার্থীর জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
২০সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা ভিন্ন চিত্র সেখানে বন্ধ রাখা হয় শ্রেণীশিক্ষা কার্যক্রম। অথচ স্কুলটি পরীক্ষা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত না।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক(হিসাব বিজ্ঞান) শাহজাহন জানান,আমাদের ১১জন শিক্ষকের মধ্যে ৫জন পরীক্ষা কেন্দ্রে তাই আমরা স্কুল বন্ধ রেখেছি।
সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম জমার্দার বলেন,আমাদের শিক্ষক স্বল্পতার কারনে বন্ধ করে দিয়েছি।
বন্ধ রাখার কোন নিয়ম বা নির্দেশনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানেন, তার নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে। তার(প্রধান শিক্ষকের) অনুমূতি ব্যাতিত আর কিছু বলা যাবেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বন্ধ থাকবে কেন আমি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের বাহিরে আছি । আমি যেনে আপনাকে যানাব।
এভাবে বন্ধরাখার কোন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান,পাঠ ব্যাহত কিংবা বন্ধ রাখার বিধান নেই। কি কারনে বন্ধ রাখা হয়েছে আগামীকাল যদিও বন্ধেরদিন আমি স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিব।
উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মামুনূর রশীদ বলেন,পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়ার জন্য স্কুল বন্ধ রাখতে হবে এমন অবস্থা ফরিদগঞ্জে নাই। আমাদের প্রতিটি স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশ্রাফী বলেন-স্কুল বন্ধ রাখবে কেন? প্রয়োজনে একটা বিষয় কম করে হলেও তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ৫২জন পরীক্ষার্থীর জন্য সে বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ৩জন শিক্ষক দায়িত্বে থাকার কথা ৫জন দায়িত্ব পাইলো কিভাবে বিষয়টি দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছা বলেন,যেখানে পরীক্ষা কেন্দ্র নেই সেই স্কুল বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।