ফরিদগঞ্জে ৯৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরোধান ধান চাষ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:

ফরিদগঞ্জে ৪০,৬০৮মেট্রিকটন লক্ষমাত্রা নিয়ে ৯৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদ করা হয়। চাষীপর্যায়ে বীজ,সার,কীটনাশক ও সেচপাম্প বিতরন করায় চাষীরা অনেকটা আগ্রহ নিয়ে বোরোধান আবাদ করে।

বাংলাদেশ দূর্যোগপ্রবল এলাকা হওয়ার প্রতি বছরই দূর্যোগ হওয়ায় সম্ভবনা থাকে,বিশেষ করে বৈশাখমাসে কালবৈশাখী ঝড় দেখা দেয়। রোবোধান পাকে বৈশাখ থেকে জৈষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এসময় চাষীরা ব্যাস্ত থাকে নতুন ধান ঘরে তুলতে,শত ব্যাস্ততার পরেও ঝড়বৃষ্টির কারনে বোরোধানের একটি অংশর ক্ষতির হয়।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পর্যাপ্ত সেচ সুবিধাজনক থাকায় আশানুরূপ ভালো ফসলের আশাকরা যায়। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাশ দেওয়া হচ্ছে, অথচ মাঠ পর্যায়ে বেশীরভাগ ফসল এখনও উঠে আসেনি। গত বছর রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের কৃষকের কাজে সহায়তা করতে দেখা গেলেও এবছর এখনও তাদের কর্মকান্ড নজরে আসেনি।

কয়েকটি ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায় এখন ১০শতাংশ ফসল কাটা হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দক্ষীণপাশের ফসলের মাঠ কামরান ডাক্তারের ব্রিজেরপাশে দুটি ফসলের মাঠ, চরবড়ালী ফসলের মাঠসহ কয়েকটি বিলের ফসল এখন ৯০শতাংশ রয়ে গেছে।

এসব মাঠের ৯০শতাংশ ধান পাকা(কাটার উপযোগী) চরবড়ালী ফসলের মাঠে স্ত্রী সহ ধান কাটতে দেখাযায় নুরুল আলম মিস্তিকে, তিনি এবার দশ গন্ডা জমিতে ধান চাষ করেছেন ফসল মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে তিনি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন,

উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে মোঃ নুরে আলম ভুট্রো (কৃষি ডিল্পোমাবিদ) বলেন- এবছর ৯৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষকরা হয়েছে,লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৪০৬০৮ মেট্রিকটন।তিনি আরো বলেন আমরা চাষীদের ধানের বেশী অংশ পাকলেই কাটার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। বিগত বছরের ন্যায় এবছর চাষীদের ধান কাটায় এগিয়ে আসলে রক্ষাপায়ে কষ্টার্জিত সোনার ফসল।

Loading

শেয়ার করুন: