নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেছেন, বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতেই দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। কারণ, তারা জানতো বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। ইনশাল্লাহ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ মাস্টার, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বি এম হান্নান, সহ-সভাপতি রহিম বাদশা।
জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার, জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, মো. মুকবুল হোসেন মিয়াজী ও জান্নাতুল ফেরদৌস, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জান্নাতুল বাকী বিল্লাহ উপম পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান পরান, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজালাল রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ মুন্না। আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনান শেখ আবিদ মহিউদ্দিন।
আলোচনা সভার পর মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জেলা পরিষদ মসজিদের ইমাম ইমাম মাওলানা মো. মনির হোসাইন। সবশেষে গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চাঁদপুরের অঙ্গীকার পাদদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালিতে অংশগ্রহণ ও ক্যাপ বিতরণ ও সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই উপহার দেয়া হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে এবার তৃতীয় বারের মতো চাঁদপুরের সকল দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। এছাড়া মাসব্যাপী সারা জেলায় শোকের ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়।