মতলবে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ফেডারেশনের মানববন্ধন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কৃষি সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছে সেচ প্রকল্পগুলো গতিশীল করার লক্ষ্যে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন।

সোমবার (১৪ জুন) সকাল ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবাহী প্রকৌশলী, এম.ডি.আই.পি চাঁদপুর এর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানবন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনা এসোসিয়েশনের সভাপতি, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। পরিচালনা করেন মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ আলাউদ্দিন। মানববন্ধনে ৩০ টি পানি ব্যবহারকারী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ কুদ্দুস বলেন, জননন্দিত নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজকে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ সমাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের প্রতিটা অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটেছে। তাই খাদ্য শষ্য পর্যাপ্ত উৎপাত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সেচ প্রকল্পগুলোতে কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলে কৃষক ভাইয়েরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন।

এমএ কুদ্দুস আরও বলেন, এই মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের একটি উপ-সম্প্রসারণ অফিস ছিল। এতে একজন কর্মকর্তা ও ১৮ জন ফিল্ড অফিসার ছিলেন। কিন্তু যখইন এই প্রকল্পের সফলতা দেখা দিচ্ছে, তখন থেকেই ওইসব কর্মকর্তাদের এখান থেকে সরিয়ে কৃষকদের একটা বিপদে ফেলার চেস্টা করা হচ্ছে। একটি প্রকল্পের জন্য ছিল একজন উপ-সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। কিন্তু উপ-সম্প্রসারণ অফিস চাঁদপুর এর আওতায় ৮ থেকে ১০ টি প্রকল্প সংযুক্ত করা হয়েছে। যদি এমন হয় তাহলে একজন উপ-সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এতগুলো প্রকল্পে সেবা দিতে গেলে সেবা বিঘিœত হবে। তাই আমাদের উন্নয়নের সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাই সম্প্রসারণ কর্মকর্তা না কমিয়ে আরো বেশি পদায়ন করা ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রকল্পকে সজ্জিত করতে হবে। তাহলেই কৃষককুল বাঁচবে ও দেশ বাচঁবে। ২০১৪ সালে গৃহীত প্রবিধান বাস্তবায়ন করে সেচ প্রকল্পগুলোর কর্মকান্ড আরো গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবী জানান বক্তারা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মাছে ভাতে বাঙ্গালী এই প্রবাদ সত্য। কৃষককুল এর জন্য আধুনিক চাষাবাদ উন্নয়নের সোপান, মাননীয় সরকার বাহাদুর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেচ প্রকল্প সমূহ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়ন করেছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে আধুনিকভাবে ফসল উৎপাদন, মৎস্য চাষ, শাক সবজি, ফল ফলাদী, বনায়নসহ বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হইতেছে। সেব প্রকল্পের সফলতা বিভিন্ন সময়ে সেচ প্রকল্পের স্বার্থে রক্ষাবেক্ষণ কর্মকান্ড প্রয়োজন হয়। তাই সেচ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে নিয়ে প্রকৌশলী বিভাগ সেচ প্রকল্পের সফলতায় কৃষকদের ব্যবহার করতে পারে। অংশীদারিত্বমূলক পাবি ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২০১৪ সালে গৃহীত ও অনুমোদিত হয় বিধায় ২০১৪ প্রবিধান বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করি।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কৃষকদের আরো গতিশীল ও আধুনিকায়নের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করি। প্রকল্পবাসী ও বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আরো নিবিড় আন্তরিকতার অনুরোধ করছি। সেচ প্রকল্পের যথেচ্ছার ব্যবহারে অনুমোদনহীন বাসস্থান নির্মাণ বন্ধ করা প্রয়োজন। কৃষি জমি কর্তন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি। সেচ সার্ভিস চার্জ এ বিঞ্ন সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষক সংগঠন গুলোকে আর্থিবাবে সাবলম্বী করার জন্য পাউবো অব্যবহৃত জমি এলাকার ২০১৪ আংশিদারিত্বমুলক পানি ব্যবস্থাপনা বিধান মতে লিজ দেওয়ার অনুরোধ করছি। খাদ্যে সাবলম্বী হওয়ার জন্য কৃষকদের অধিকতর প্রণোদনা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে সরবরাহ করার অনুরোধ করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তারই সুযোগ্য কন্যা মানবতার মা বিশ্ব নন্দিত, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার সবুজ বিপ্লব কৃষকদের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হবে এই দাবি কৃষককদের।

এছাড়াও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ আলাউদ্দিন বক্তব্যে প্রকল্পের সুবিধা অসুবিধা ও বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।

Loading

শেয়ার করুন: