মতলব উত্তরে একটি সপ্রাবির জায়গায় বেদখল উদ্ধারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আদুরভিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা বেদখল হয়ে আছে। যার ফলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। বিগত ২০ বছর যাবৎ স্কুলের অন্যান্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বেদখলকৃত জায়গা উদ্ধারে কাজ চলছে বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের ৩৩ শতক জায়গার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা বেদখল হয়ে আছে। বেদখলকৃত জায়গা গড়ে উঠেছে বসতঘর। প্রায় ২০ বছর যাবৎ স্কুলের জায়গা দখল করে বসবাস করছে একটি পরিবার। শুধু তাই নয় বর্তমান প্রস্তাবিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন নিজেও জায়গা দখল করে গাছের বাগান সাজিয়েছেন। প্রস্তাবিত কমিটি অনুমোদন হলে তিনি সভাপতি হবেন বলেও জানা গেছে। তবে তিনি কমিটির একজন সদস্য হয়ে কিভাবে স্কুলের জায়গা ভোগদখল করেন, তা নিয়ে স্থানীয় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক লোকজন বলেন, স্কুলের যে জায়গা আছে তা স্কুলের দখলেই থাকবে। অন্য কেউ কেন দখল করে রাখবে। আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দ্রুত জায়গা উদ্ধার করা হোক।

আদুরভিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমি এই স্কুলে যোগদান করার পর যখন জেনেছি পুরো জায়গা স্কুলের দখলে নেই।তখনই উপজেলা ভূমি অফিসে জায়গা উদ্ধারের জন্য আবেদন করি।পরে উপজেলা সার্ভেয়ার এসে জায়গা পরিমাপ করেছেন এবং দখলকৃতদেরকে মৌখিকভাবে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা এখনো জায়গা খালি করছে না। আমি স্কুলের এই জায়গা উদ্ধার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি।

এদিকে বসতঘর নির্মাণকারী নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২০ বছর আগে আমি ৪ শতাংশ জায়গা আবুল হোসেন মেম্বার থেকে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে মৌখিকভাবে ক্রয় করে বসতঘর নির্মাণ করি। আমার জানামতে ওই জায়গায় স্কুলের জায়গা নেই, তবে সরকারি খাস জায়গা আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, জায়গা পরিমাপ করার পর যদি আমার ঘরে স্কুলের জায়গা পড়ে তাহলে আমি জায়গা ছেড়ে দিব।

বিদ্যোৎসাহী সদস্য আব্দুল বাতেন জানান, স্কুলের জায়গা যদি বেদখল হয়ে থাকে, তাহলে তা দ্রুত উদ্ধার করা হবে।

এ ব্যাপারে আবুল হোসেন মেম্বার বলেন, স্কুলের জায়গা উদ্ধারের লক্ষ্যে একবার পরিমাপ করা হয়েছে। কিন্তু ওই মাপ সঠিক হয়নি বিধায় পুণরায় পরিমাপ করতে হবে।

আপনি নিজেও জায়গা দখল করে গাছ লাগিয়েছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি পরিমাপ করার পর স্কুলের জায়গা পড়ে তাহলে ছেড়ে দিব।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, বিষয়টি আমি আজকে জেনেছি। প্রধান শিক্ষককে ইউএনও বরাবর আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে জায়গা উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ গ্রহন করবো।

Loading

শেয়ার করুন: