মতলব উত্তরে ১৫০ বিঘা জমি দুই ফসলি থেকে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তরের চেষ্টা

মনিরা আক্তার মনি॥

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রনোদনার মাধ্যমে সমালয় পদ্বতিতে ক্রপিং প্যাটার্ন এর প্লট। এখানে ১১০ জন কৃষকের মাধ্যমে ১৫০ বিঘা রোপা আমন-সরিষা-বোরো প্যাটার্ন বাস্তবায়িত হবে। এতে করে ১৫০ বিঘা জমি দুই ফসলি থেকে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তর হবে।

এই জমি পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুরাদুল হাসান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ড.আনিছুর রহমান,উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো.পাভেল খান পাপ্পু ,উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোহাম্মদ রেদওয়ানুর রহমান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুরাদুল হাসান বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছরে দেশে উৎপাদন, উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে যে খাতগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, সেগুলোর মধ্যে বেশি এগিয়ে আছে কৃষি। ১৯৭০ সালে কৃষিজমিতে বছরে একটি ফসল হতো, দেশের প্রধান খাদ্যগুলোর বেশির ভাগই ছিল আমদানিনির্ভর।

তিনি আরো বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোতে কৃষিজমি কমছে। কারণ, সেখানকার মানুষ কৃষিকাজ ছেড়ে দিচ্ছে। আমাদের এখানে শিল্পকারখানার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং নানা অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে কৃষিজমি খুব দ্রুত কমছে। কিন্তু আমাদের কৃষকেরা আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছেন। চাল, সবজি ও মাছ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। তবে এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে কৃষিজমি যাতে আর না কমে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

মুরাদুল হাসান বলেন, জমির পরিমাণ না বাড়ার পরও ফসলের উৎপাদন এত বাড়ার উত্তরও এফএওর বিশ্ব কৃষি পরিসংখ্যান প্রতিবেদন-২০১৯ এ রয়েছে।

সংস্থাটির তথ্য বলছে, ১৯৭০ সালে দেশের ফসলি জমিতে গড়ে একটি ফসল হতো। ১৯৯৭ সালে তা বেড়ে হয় ১ দশমিক ৬ গুণ। ২০১৭ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে দেশের প্রতিটি জমিতে দুটি করে ফসল হচ্ছে।

Loading

শেয়ার করুন: