মেঘনা বার্তা নিউজ ডেস্ক :
মালিক এবং শ্রমিক নেতারা দূর্ঘটনায় নিহতত শ্রমিকের খোঁজ না নেয়ায় চাঁদপুর থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
আজ ৬ সেম্টেম্বর সকালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাংচুরেরর সময় শ্রমিক নেতা আনোয়ার মুন্সী গুরুতর আহত হয়েছে। পুলিশের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের আগেই শ্রমিকরা মালিক সমিতির অফিস এবং সিলেট রুটের অফিস ভাংচুর করেছে।
বিকেল পর্যন্ত ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি। আজকের ঘটনার পর থেকে অনেক মিলিক এবং শ্রমিক নেতা তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
শ্রমিকরা চাঁদপুর থেকে সারাদেশের সাথে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই চাঁদপুর বাস স্টেশান থেকে বাস ছেড়ে যায়নি।
শ্রমিকরা সকাল থেকে রাস্তায় জড়ো হয় ও কাউন্টারে ভাংচুর করে। প্রতিবাদী শ্রমীকরা শ্রমিকনেতা আনোয়ার মুন্সীকে মারধর করে।
প্রতিবাদী শ্রমিকরা বলেন, আমাদের ভাই পদ্মা সার্ভিসের চালক মিজান ৫ সেপ্টেম্বর বাস চালানো অবস্থায় দূর্ঘনায় আহত হন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হলেও কোন নেতা বা বাস মালিক তার খোঁজ খবর নেয়নি এবং অর্থ সহায়তা করেনি।
অর্থাভাবে মিজানের মৃত্যু হলে তার যানাজায় কোন নেতা উপস্থিত হয়নি। শ্রমিকদের দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করলেও বাস মালিক ও নেতারা আমাদের পাশে না দাড়ানোয় আমরা সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য। মালিক ং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার নামে বছরে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয়। অথচ সাধারণ শ্রমিকরা তেমন কোন সুবিধা পায়না।
তাছাড়া মালিক সমিতির কার্যক্রমও ইনএকটিভ। কোন অঘটন ঘটলে প্রশাসনের তাগিদে মালিকরা একত্রিত হয়। এছারা কোন খবরই থাকে না। সমিতির নিয়মিত সভাও হয় না দীর্ঘ দিন।
বহু চেষ্টার পরও এ ব্যপারে শ্রমিক নেতাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী বলেন, সামনে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন। তাই এটা তাদের আগাম মহড়া।
তিনি বলেন, নিহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্যে তাৎক্ষণিক অ্যাস্বুলেন্স ব্যবস্থা করে টাকা পয়সা দিয়ে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া আমি ঢাকা থাকায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে,সহসাই বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।