মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর:অতিরিক্ত সচিব

মতলব উত্তর প্রতিবেদক :

মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম।

তিনি এ সময় বলেন, বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ করছে সরকার। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে এ বেড়িবাঁধ। এখানকার উৎপাদিত ধান নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে। বেড়িঁবাঁধকে টেকসই করার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিরাবাদ বাজারের কাছে বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ৮০ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক হাজার জিওব্যাগ এবং ৬ হাজার সিথেটিক ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। এতে করে রাতেই ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আসে। আবার শনিবার ভোর ৪টা থেকে নতুন করে ঠিকাদারের মাধ্যমে বস্তাভর্তি করা শুরু হয়। এখন ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই। এরপরও আমরা সতর্ক আছি। আশা করি, কোনও সমস্যা হবে না।

এ সময় সাথে ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব স্নেহাশীষ দাশ, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, পাউবো’সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন কাচারীকান্দি এলাকা দিয়ে মেঘনা নদী লাগোয়া মূল বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে নদীর তীরবর্তী অংশের ২০০ মিটার অঞ্চল ভেঙে নদীতে বিলীন হতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই বাঁধের ৮০ মিটার এলাকা ভেঙে যায়। চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই শতাধিক যুবক নিজ উদ্যোগে ৮-১০টি ট্রলিতে করে জনতা বাজার, চরমাছুয়া এলাকা থেকে কয়েক হাজার বালুভর্তি জিওব্যাগ এনে বাঁধ রক্ষার কাজে নেমে পড়েন। স্থানীয় আমিরাবাদ বাজারে বাঁশের বাজার থাকায় সেখান থেকে বাঁশ এনে পাইলিংয়ের ব্যবস্থা করতে থাকেন তারা। যুবকরা রাত ৩টা পর্যন্ত প্রাণপণে চেষ্টা করে বাঁধ রক্ষা করেন।

Loading

শেয়ার করুন: