শ্বশুর বাড়িতে হামলা শ্বাশুড়িসহ আহত ৪

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে হামলা করেছে জামাই শ্বাশুড়িসহ ৪ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দ উত্তর ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের আরফান আলী মিজি বাড়ীর মোঃ আব্দুল করিম মিজির মেয়ের সাথে ধানুয়া গ্রামের খাঁন বাড়ির ইব্রাহিম খলিলের ছেলে বায়েজিদ খাঁন ইউনুস এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় প্রায় দেড় বছর পূর্বে। এর পর থেকেই যৌতুকের জন্য টালভাহানা শুরু করে ঐ পরিবারটি এরই মধ্যে নগদ টাকা স্বার্নালংকার সহ আনুমানিক ৬ লক্ষ্যধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

এরই কিছু দিন পরে ইব্রাহিম খলিলের ছোট ছেলে মেহেদী হোসেন সুমাইয়া আক্তারকে জোর পূর্বক বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে বিয়ে করতে বাধ্য করে। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই তার উপর অমানুসিক নির্যাতন শুরু করে পরে গর্বাস্থায় ঐ বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় সুমাইয়া। এদিকে ছোট বোনের জামাই বায়েজিদ খান বড় বোন পিয়ারার উপর হামলার সু বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে কাছে বিচার প্রার্থনা করে অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ারা বেগম।

এতে ক্ষুব্দ হয়ে বাড়িতে থাকা আবদুল করিমের ছোট মেয়ে লিমা আক্তারকে ব্যাপক শারিরীক নির্যাতন করে।

পরবর্তীতে তার বাবা ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সাধারণ ডায়েরিটি আমলে নিয়ে থানা পুলিশ আদালতে পাঠিয়ে দেয়।

এরই জের ধরে গত ২১ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় ইব্রাহিম খলিলের ছোট ছেলে মেহেদী হোসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায় এসময় তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার শ্বাশুড়ি লিলু বেগম (৪০) সুমাইয়া (১৯) হাফেজ ফারুক হোসেন (২৪) পিয়ারা বেগম (২২) গুরুতর আহতকরে স্বার্নালংকার নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার সাথে থাকা দুটি ধারলো অস্ত্র ১টি রড,১টি মটর সাইকেল আটকে করে এলাকাবাসী।

প্রতিবেসী আবু সাঈদ, সুলতান মিজি,ফাতেমা বেগম জানান মেহেদী হোসেন তারা,বাড়ির সবাই যখন মাগরিবের নামাযে তখন সে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বারাকাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Loading

শেয়ার করুন: