সোহেল রানা হত্যাকাণ্ড পরকীয়ার জের ধরে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ২

মতলব উত্তর ব্যুরো ॥

মতলব উত্তরে পরকীয়ার জের ধরে এক যুবক খুন হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। নিহতের নাম সোহেল রানা পাঠান (২৫)। সোমবার এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পরকিয়া প্রেমিক সুফিয়া বেগম (২৫) ও প্রেমিকার স্বামী মাসুদ পাঠান (৩৩) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

উপজেলার পূর্ব ষাটনল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে ওই গ্রামের সোহেল রানার বাবার কবরের পাশের ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সোহেল রানার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। একটি চোখ উঠিয়ে ফেলা হয়।

নিহত সোহেল রানা পাঠান উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের পূর্ব ষাটনল গ্রামের মৃত. নুরুল হক পাঠানের ছেলে। এই হত্যা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোহেল রানার প্রেমিকা সুফিয়া বেগম (২৫) ও তার স্বামী মাসুদ (৩৩)কে গ্রেপ্তার করেছে। আটককৃত সুফিয়া বেগম নিহত সোহেল রানার ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতেই মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এদিকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার দু’জনকে আদালতে সোর্পদ করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ছেংগারচর গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে সুফিয়া বেগম এর প্রায় ৪ বছর আগে পূর্ব ষাটনল গ্রামের হাবিব উল্লাহ পাঠানের ছেলে মাসুদ পাঠানের সাথে বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী সুফিয়ার সাথে নিহত সোহেল রানার পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরই সূত্র ধরে গত ১ এপ্রিল রাতে সোহেল রানাকে ডেকে নেয় সুফিয়া। এরপর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

সোহেল রানা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন। ঘটনার পর থেকেই চাঁদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মইনুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইযাছিল আরাফাত, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছেন।

এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন পরকিয়া প্রেমের জের ধরে সুফিয়া ও তার স্বামী মাসুদ প্রেমিক সোহেল রানাকে হত্যা করার পর লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং আর এর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে আদালতে।

Loading

শেয়ার করুন: