হাইমচরের মধ্যচরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুতের লাইন

হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে ১০ হাজার মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবা পেতে যাচ্ছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মধ্যচরে এ বিদ্যুৎ সরবরহের পরীক্ষামূলক সঞ্চালনা করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

মধ্যচরের ৫০ হাজার মানুষ কবে কখন তাদের অকল্পনীয় বিদ্যুতের আলো পাবে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। বিদ্যুতের পিলার, তারটানা শেষে ঘরে ঘরে মিটার স্থাপন করা হলেও এখনো স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে চরবাসীর।ইতিমধ্যে ৩ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সকল প্রকার কাজ শেষের পথে। কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে এ বিদ্যুৎ লাইনটি।

স্থানীয় পারভিন শিকদার জানান,আমরা চরবাসী কখনো বিদ্যুতের আলো পাবো তা কল্পনাও করি না। আজ আমাদের চরে বিদ্যুতের পিলার, তারটানাসহ সকল কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা ধন্যবাদ জানাই আমাদের চেয়ারমান সালাউদ্দন সরদার,উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীকে। ধন্যবাদ জানাই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

নূর মোহাম্মদ জানান, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অক্লান্ত পরিশ্রমে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনির নেতৃত্বে আমরা চরবাসী বিদ্যুৎ পেতে যাচ্ছি। যা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের বিষয়। এ বিদ্যুতের ফলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিদ্যুতের আলোয় পড়া লেখা করবে, আমাদের ঘরে টিভি চলবে, আমরা এখনো কেন জানি স্বপ্নের মতই মনে হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার জানান, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে মধচরে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। এই চরের ১০ হাজার মিটারের মাধ্যমে ৫০হাজার লোক বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে।এ বিদ্যুতের উদ্বোধন হলে চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। পরীক্ষামুলক সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেন, শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুতের জিএম মো:জুলফিকার রহমান।
শরীয়তপুর জিএম জুলফিকার রহমান জানান,মধ্যচরে ৬২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩ টি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে ৩২৫ কিলোমিটার এরিয়ায় বর্তমানে ৫ হাজার মিটারের মাধ্যমে ৪০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। পর্যায়ক্রমে শতভাগ বিদ্যুৎ এর আওতায় আসবে।

Loading

শেয়ার করুন: