হাইমচরে শিশু গণধর্ষন ও হত্যা মামলার আসামী আটক

মেঘনাবার্তা ডেস্ক:
চাঁদপুরের হাইমচরে শিশু গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামীকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে রবিবার বেলা ২ টায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

এস আই রেজাউল করিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামী মোঃ সেলিম বেপারী (২২) , পিতা- শফিউল্লাহ বেপারী, সাং-সুরুজ সরকার কান্দি, চরবাও, ঈশানবালা , থানা- হাইমচর জেলা- চাঁদপুরকে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করে।

২২ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে বিকালে হাইমচরে স্থানীয় চৌকিদার নান্নু মিয়া মারজানের মুখ চেপে ধরে জনৈক নাসির সর্দারের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে সে সহ ৪ জন নর পশু জোড় পূর্বক পালা ক্রমে ধর্ষন করে।

মারজানের গোপনাঙ্গে রক্তের ধারা বয়ে যায়। জ্ঞান হারায় মারজান। জ্ঞান ফিরলে ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাবে এ কারনে ৪ পাষন্ড নরপশু গলা টিপে হত্যা করে মারজানকে।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত শুরু হলেও মেয়ে বাড়ী ফিরে না আসায় সবাই এদিক সেদিক খুঁজাখঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃত মারজানের উলঙ্গ প্রাণহীন দেহ পাওয়া যায় হাইমচর থানার ঈশানবালা এলাকায় মারজানের বাড়ীর অদুরে নদীর পাড়ে।

ধর্ষক ও হত্যাকরীরা এলাকার সুবিধাবাদী মহলের যোগসাজসে সুকৌশলে মারজানকে জ্বীনে মেরেছে বলে প্রচার করে মারজানের মৃতদেহ দাফন করা হয় স্থানীয় কবর স্থানে।

কিন্তু হতভাগী মারজনের মা- বাবার মন কিছুতেই সায় দেয়না যে, তাদের আচঁলের নিধি মারজানকে জ্বীনে মেরেছে। মনকে কোন ভাবেই মানতে না পেরে মারজানের বাবা ১০ জানুয়ারী ২০১৮ সালে ঈশানবালা সাকিনের দ্বীন ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জালাল মিয়া হাওলাদার (২১) , কাদির বেপারীর ছেলে সিদ্দীক (২২) ও শফিক উল্লাহ বেপারীর ছেলে সেলিম গং দের আসামী করে মামলা করে।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর এর আদালতে। আদালত ওসি হাইমচর থানাকে সরাসরি মামলা রজুর আদেশ দিলে হাইমচর থানার মামলা নং ০৪ তারিখ ১৬/০১/১৮।

১ বছরে ও মামলাটির তদন্তে উল্লেখ যোগ্য কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ সুপার চাঁদপুর মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করেন। আই ও নিয়োগ করা হয় ডিবির এস আই শামীম আহম্মদকে।

এস আই শামীম বদলী সুত্রে অন্যত্রগেলে ১০/০২/২০২০ এস আই রেজাউলকে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়। এক মাসের মাথায় এস আই রেজাউল মামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত এজাহার বহির্ভূত আসামী নান্নু চৌকিদার কে গ্রেফতার করেন শরিয়তপুর থেকে।

জিজ্ঞাসাবাদে নান্নু নিজে সহ এজাহার নামীয় ৩ আসামী মারজানকে নারকীয় ভাব ধর্ষন ও হত্যার লোমহর্ষক বিবরন দেয় এবং বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়।

ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া ডিবি চাঁদপুরের দায়িত্ব গ্রহনের পর এ মামলাটির তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আই ও কে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন। তিনি জানান, আসামি সেলিমকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ আদালতে প্রেরণ করা হবে।

Loading

শেয়ার করুন: