হান্নান হত্যায় মামলা দায়ের : ২ শ্যালক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা তরুণ ব্যবসায়ী হান্নান মৃধা হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার আবুল হোসেন মৃধার ছেলে হান্নান মৃধা চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার হানিফ প্রধানিয়া ওরফে হানিফ মহুরীর মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির সংসারে ১টি সন্তান রয়েছে।

নিহত হান্নান মৃধা ব্যবসায় লোকসান দিলে তিনি অনেকটা বেকার হয়ে যাওয়ায় সংসারে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এক পর্যায়ে কাউকে কিছু না বলে হান্নান মৃধা গত মাসের শেষ দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ হান্নান মৃধা নিখোঁজ হয়েছে এ মর্মে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিহতের বোনের জামাই রুবেল বেপারী একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-১৩৯। তাং-১/৩/২০২২খ্রিঃ।

এদিকে এ সাধারণ ডায়েরির পর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে মডেল থানার এসআই রাশেদুজ্জামানের কাছে। তার দায়িত্ব পালনে অবহেলায় তাকে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়েছে Ñ এমন অভিযোগে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী শহরে মিছিল করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করার দাবি জানায়।

গত ১৩ মার্চ নিহত হান্নান মৃধার লাশ যশোরের বেনাপোল এলাকায় পাওয়ার ঘটনার খবর শুনে নিহত হান্নানের বড় বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ১৪ মার্চ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৪৪।

অপরদিকে হান্নান মৃধা নিহতের ঘটনায় তার পরিবারের দাবি, নিহত হান্নানের শ^শুর পক্ষ তাকে হত্যা করেছে। কারণ বেশকিছু দিন যাবৎ তাদের উভয় পরিবারের মাঝে টানাপোড়েন দেখা দেয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মামলা দায়েরের পরপরই চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদ নিজেই নিহত হান্নানের দু’শ্যালককে থানায় ডেকে এনে আটক করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুজন থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদের সাথে বিকেলে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে, এ অবস্থায় কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

অপরদিকে এসআই রাশেদুজ্জামানের বিষয় কথা হলে তিনি বলেন, তিনি দায়িত্ব অবহেলা করেছেন এমনটি আমার জানা নেই। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি কর্তৃপক্ষের বিষয়, এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

Loading

শেয়ার করুন: