ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন অবহিতকরন কোর্সের সমাপনী

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন অবহিতকরন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা অডিটিরিয়ামে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে অবহিতকরন কোর্সের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট উপ-সচিব মোঃ আবদুল খালেক।

এ সময় তিনি বলেন ইউনিয়ন স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারগন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সঠিক ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনেক ক্ষমতায়ন দিয়েছে। বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রদত্ত করে দিয়েছে সরকার। আইনি বিধি বিধানে স্থানীয় সরকার বিভাগের বিচার কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদের পরিচালনা করতে হবে। মানুষ যাতে ইউনিয়ন পরিষদে এসে সঠিক বিচার পায় দিকে লক্ষে রেখে কাজ করতে হবে। যাদের জন্য আপনি কাজ করবো, তাদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। কোন আইনে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা হচ্ছে, সেবিষয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বারদের জানতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেগুলো যাচাই বাচাই করে দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্য সার্টিফিকেট, ওয়ারিশান সনদ পত্র সকল বিষয়ের গুরুত্ব সহকারে দিতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধির অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশান সার্টিফিকেট সবাচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, এ সার্টিফিকেট দিয়ে নামজারি, জমি রেস্ট্রিরি করা, এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতের বিষয়ে ইউনিয়নের সকলকে অবগত করতে হবে। চেয়ারম্যানরাই পারে মামলার ঝট কমাতে, ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক ভাবে বিচার করলে মানুষ মানবে, সকলেই ইউনিয়ন পরিষদমুখী হবে। সকল বিষয়গুলো আইনগত হতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদকে জরিমানার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে।

তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের সাথে আলপ আলোচনা করে পরিষদের কার্যক্রম করতে হবে। তাদেরকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম করা যাবেনা। তাদেরকে সকল কমিটিতে রাখতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমানে এলজিএসপির অনেক বরাদ্ধা দেওয়া হচ্ছে, এ বরাদ্ধের কাজগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহৃত করতে হবে। ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভাট যথানিয়মে করতে হবে। প্রতিটি কাজ উঠান বৈঠক করে জনগনের মতামত নিতে হবে।

সদর উপজেলা ইউএনও সানজিদা শাহনাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য প্রথম পর্যায়ে সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও মেম্বার মোট ১শতজন অংশ গ্রহন করেন। ৭ইউপি চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম খান, আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, কল্যানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওত হোসেন পাটওয়ারী, শাহমাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক। এ সব ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যগন অবহিতকরন কোর্সের অংশ গ্রহন করেন।

Loading

শেয়ার করুন: