ইলিশের প্রচুর আমদানি : দাম নাগালের বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৌসুমের শেষ সময়ও ইলিশের দাম শুনে হতাশ সাধারণ মানুষ। সিন্ডিকেটে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হবার অভিযোগ তাদের। ছোট সাইজের ইলিশের কেজি এখনো ৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি সাইজের ইলিশ সেই আগের দাম ৯শ’ থেকে হাজার-বারোশ’ টাকায় বিক্রি হয়। এমনই অবস্থা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে।

আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই নদীতে ২২ দিনের মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। তাই রূপালি ইলিশের রাজধানীখ্যাত চাঁদপুর মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ। সপ্তাহকাল যাবত সাগর উপকূলীয় অঞ্চল নোয়াখালীর হাতিয়া, দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলার ইলিশঘাট থেকে হাজার হাজার মণ মাছ আসছে চাঁদপুরে। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশতো আছেই। এতো ইলিশ, কিন্ত দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে।

ভারতে পাচার আর ইলিশ চালানীদের মজুতদারির কারণে মূলত আড়ৎদার আর ইলিশ চালানীরাই বেশি লাভবান হচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে সমুদয় ইলিশ চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ কম দামে ইলিশ খেতে পায় না।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে ৫শ’ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের এ আদেশ কাজে লাগিয়ে চাঁদপুর মাছঘাট থেকে ইলিশের চালান ভারতে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এ যাবত কি পরিমাণ ইলিশ পাঠানো হয়েছে এখানকার ইলিশ চালানিরা তার হিসাব প্রকাশ করছে না। ভারতে ইলিশ পাঠানোর এলসি চালু হওয়ার প্রভাব পড়েছে চাঁদপুর মাছ ঘাটে।

চাঁদপুর মাছঘাটে প্রচুর আমদানী থাকলেও প্রতি মন বড় সাইজের ইলিশে ১০ থেকে ১৫ হাজার দাম টাকা বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ১০দিন আগেও যেই ইলিশ প্রতিমন বিক্রি হয়েছে ৩৭ থেকে ৪০হাজার টাকা, তার বর্তমানে ৪৭ থেকে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কম দামের আশায় প্রতিদিন অগণিত ইলিশ ক্রেতা চাঁদপুর মাছঘাটে আসলেও ঘুরে ঘুরে দেখে চলে যায় অনেকে। তবে কিছু লোকের সাধ্য আছে, যাদেরকে বেশি দামে ইলিশ কিনতে দেখা যায়।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শবে বরাত জানান, চাঁদপুর থেকে ৪-৫শ’ মণ ইলিশ ভারতে চালান হয়েছে। বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে যেহেতু ইলিশ পাঠাতে হয়, তাই বরিশাল থেকে বেশি পরিমাণ ইলিশ যাচ্ছে। চাঁদপুর থেকে ইলিশ যাচ্ছে কম। এলসি চালু হওয়ায় ইলিশের দাম প্রতি মন ১২থেকে ১৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য মা ইলিশ রক্ষা ও সংরক্ষণে ৯ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করবে প্রশাসন।

Loading

শেয়ার করুন: