এক শিং গরুর তাবিজ!

মনিরা আক্তার মনি :

গরুর শিংয়ের সামান্য অংশ তাবিজে ভরে তা ‘একশিরা’, ‘কাশি’, কিংবা মহিলাদের ‘জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া’র চিকিৎসা হিসেবে মানুষকে দিয়ে ৫০-১০০ টাকা করে আদায় করেন আলমগীর নামের এক শিং ওয়ালা গরুর মালিক।

গরুর পরিচর্যা, টাকা-পয়সার হিসাব-নিকাশ ঠিকমতো রাখার জন্যই নাকি তিনি ছেলেকেও সঙ্গে রেখেছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে গরুর শিংয়ের তাবিজ বিক্রির উপার্জন দিয়েই তিনি সংসার চালাচ্ছেন, আয়-উন্নতিও করেছেন। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আলমগীর শিকদার এক শিংয়ের গরু নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে তাবিজ বিক্রি করতে থাকেন।

এ সময় তাবিজ সংগ্রহে আসা সোহেল ও কাশেম জানান, উপকার অয় কি না জানি না। গ্রামের মানসের ধারে হুনছি অ্যাক শিংওয়ালা গরুর শিং শরীরের লগে রাখলে অ্যাকশিরা আর মহিলাগো জরায়ু নাইম্মা আওয়া ও কাশ ভালো অয়। তাই কিইন্না নিছি। তয় আমরা ভালো অইতে দেহি নাই।
তাহলে তাবিজ কিনলেন কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা বলেন, দেহি, ভালো অয় কি না।

তাবিজ বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আমার গোয়ালে অ্যাকটা শিং লইয়্যা গরুডা বিয়ায়। হেইডার পর আমার মা স্বপ্নে দেখেন ওই গরুর শিং দিয়া মানুষের কাাশি, জ্বর, একশিরা, মহিলাদের জরায়ু নেমে আসাসহ কঠিন রোগ ভালো হবে। এরপর আমাগো বাড়ির ধারের মসজিদের ইমাম মুসলেম মিয়ার লগে যোগাযোগ করলে হে আমার মার কতা হোনতে কইয়্যা কয়, দ্যাহো তাবিজ দিয়া মানুষের ওই রোগ ভালো অয় কি না।

তবে তাঁর গরুর শিংয়ের সামান্য অংশবিশেষ-ভরা তাবিজে উল্লিখিত রোগ ভালো হয় কি নাথএ ব্যাপারে কোনো উদাহরণ দেখাতে কিংবা বলতে পারেননি আলতাফ শিকদার।

Loading

শেয়ার করুন: