করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাহ কাজে সহযোগিতায় শ্মশানে কিউআরসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাহ কাজে সহযোগিতা করলো চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রতিষ্ঠিত কিউআরসি।

১৫ জুন বিকেলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি ইউনিয়নের বাসিন্দা রনি গুপ্ত মারা যায়। মারা যাওয়ার পর পরই কিউআরসি হেল্প লাইনে ফোন দিয়ে লাশ মহাশ্মশানে নেয়া ও দাহ কাজে সহযোগিতা করতে শুভ নামের এক ব্যক্তি কিউআরসির সহযোগিতা কামনা করেন।

মুহুর্তেই কিউআরসি টিম ইচলীঘাটস্থ মহাশ্মশানে হাজির হয়ে যায়। লাশের বাড়ি ফরিদগঞ্জ হওয়ায় প্রথমে মহাশ্মশান কর্তৃপক্ষ লাশ ফরিদগঞ্জ শ্মশানে দাহের অনুরোধ জানায়। আর লাশের সাথে সুরক্ষামূলক কোন ব্যবস্থাও ছিলো না।

বিষয়টি কিউআরসি মুখপাত্র মোঃ মেহেদী হাসান জানার পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা পলিনের সাথে যোগাযোগ করেন এবং সুরক্ষার জন্য একটি লাশবহনকারী প্যাকেট প্রদানের অনুরোধ করেন। প্যাকেট সংকট থাকায় ডাঃ সাজেদা পলিন পলিথিন দিয়ে প্যাকেট তৈরি করে লাশবহনের পরামর্শ দেন।

তারপর মোঃ মেহেদী হাসান হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করে এবং লাশের আত্মীয়দের মাধ্যমে সুরক্ষার জন্য পলিথিন ও সাদা কাপড়ের ব্যবস্থা করে লাশ সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দাহ কাজে সহযোগিতা করে।

কিউআরসি মুখপাত্র মোঃ মেহেদী হাসান জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জহির উদ্দিন ভাই আমাকে ফোন দেয়ার পর পরই আমরা সদর হাসপাতাল থেকে লাশ মহাশ্মশানে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। পরে এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে লাশের আত্মীয়রাই মহাশ্মশানে নিয়ে যায়। শুভ নামের এক ভদ্রলোকও আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি লাশের কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই এবং তার আত্মীয় স্বজনরাও কেউ কাছে আসছে না। সেখানে আমরা মহাশ্মশানে গিয়ে লাশের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দাহ করার উপযোগি করে স্থান ত্যাগ করি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলো কিউআরসি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান বাঁধন, জিয়াউল হক পাটোয়ারী মামুন, এ এম সাদ্দাম হোসেন, মাসুদ হোসেন, শেখ মোহাম্মদ, শামীম ও তানিম।

Loading

শেয়ার করুন: