করোনা ঝুঁকিতে চাঁদপুর

বিশেষ প্রতিবেদক:

চাঁদপুর জেলার উত্তরে নারায়নগঞ্জ, পূর্বে কুমিল্লা ও পশ্চিমে শরীয়তপুর জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এছাড়াও ঢাকাসহ দেশের ১৫ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ইতোমধ্যে সারাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সারাদেশের পরিসংখ্যানে দেখাগেছে, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত ১০জনের রিপোর্টের আক্রান্ত না হওয়ার সংবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

চাঁদপুর জেলার পাশে কুমিল্লা জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও নারায়নগঞ্জ জেলার মধ্যে বেশী আক্রান্ত হয়েছে নারায়নগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ২৩জন। কুমিল্লা ও শরীয়তপুর জেলায় ১জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ জেলার সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে চাঁদপুর জেলা এখন অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে।

কারণ নারায়নগঞ্জ থেকে চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ৩ ব্যাক্তি পালিয়ে বাড়িতে এসে প্রবেশ করেছেন। যার কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ইউনিয়নে ৩টি বাড়ী লাল পাতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম পাশেই শরীয়তপুর জেলা। মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলের লোকদের সাথে উঠা-বসা শরীয়তপুর জেলার লোকদের সাথে। যোগাযোগ হচ্ছে ট্রলার। ট্রলার দিয়ে তারা চাঁদপুরে আসা-যাওয়া করেন।

সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। যার ফলে সোমবার থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর এর মধ্যে ট্রলার চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

জেলা পুলিশের পক্ষে বিকেলে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাসুদ মাইকিং করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাইকিং করে ব্যবসায়ী ও ট্রলার মাঝি এবং মালিকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করেন।

এদিকে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চাঁদপুর শহরের মসজিদগুলোতে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হওয়ার জন্য ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।

Loading

শেয়ার করুন: