গণমানুষের আবেগ-অনুভূতির দল আওয়ামী লীগ :এমপি রুহুল

মনিরা আক্তার মনি:

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল বলেছেন, গণমানুষের আবেগ-অনুভূতির দল আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন এই দলের নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, আতাউর রহমান খান, শওকত হোসেন ও আলী আহমদ খানকে সহ-সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিব (তখন কারাবন্দি) ও এ কে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক এবং ইয়ার মোহাম্মদ খানকে কোষাধ্যক্ষ করে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল।

তিনি বলেন, ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবরের তৃতীয় কাউন্সিল সভায় ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হিসেবে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে পুরনো ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অন্যতম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে আওয়ামী লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই দল মানুষের প্রয়োজনে কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি বলা যায়, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে এই দেশের মানুষের প্রয়োজনে।

আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল বলেন, সময়ের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই দলটির ঐতিহ্য। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছিলেন শেখ মুজিব এই দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে। এই দেশের মহান স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল এই দলটির নেতৃত্বে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাকা-ের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যার মাধ্যমে এই দেশ থেকে আওয়ামী লীগ তথা জাতির পিতার অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে চেয়েছিল। সেদিন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দেশে ফিরে আসেন জাতির জনকের পবিত্র আমানত তার কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে আসার পূর্বে ১৯৮১ সালে দলের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর থেকে আজ অবধি দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান প্রধানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম লস্কর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, কবির হোসেন মাস্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জমাদার, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বোরহান, সদস্য বাবু রাধেশ্যাম সাহা চান্দু, লিয়াকত আলী, ছেঙ্গারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, কৃষিবিদ মজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী মিজানুর রহমান, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ উল্লা সরকার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, ছেঙ্গারচর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান ইয়ার, ছেঙ্গারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আঃ মান্নান বেপারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অ্যাড. আক্তারুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্লাহ দর্জি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজ খালিদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ মানুষ জিএম ফারুক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী লাভলী আক্তার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ শাহজালাল মাস্টার, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সরকার, আবু হানিফ অভি প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সকলের জন্য দোয়া করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বৃক্ষ রোপণ করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন: