গরুর হাট ফাঁকা

মনির আক্তার মনি:

সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়ও চলছে কঠোর লকডাউন। তাই উপজেলার গরুর হাটগুলো ফাঁকা রয়েছে। আগামী ২১ জুলাই ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদের প্রধান উপকরণ হলো কোরবানির পশু। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ছেংগারচর গো হাট, লুধুয়া আমতলা গো হাট, কালির বাজার (মিয়ার বাজার) গো হাটে নেই পশু। শুধু গরু বাঁধার বাশ দাঁড়িয়ে আছে পশুর অপেক্ষায়। কিন্তু দেখা নেই গরুর বেপারী, খামারী ও ক্রেতা-বিক্রেতার। পশুর খামারি ও চাষীরা পড়েছে বেকায়দায়। কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মৌসুমী খামারীরা পশু মোটাতাজা করেছে। এ পশু বাজারে বিক্রির জন্য নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে।

প্রতি শুক্রবার ছেংগারচর গরুর হাটে একটিও গরু-ছাগল আসেনি, মিলেনি হাটটি। হাসিল ঘরতেও বসেনি ইজারাদার। একজন বেপারীকে দেখা গেছে বৃষ্টির মধ্যে বিশ্রাম করতে। লুধুয়া আমতলা গো হাট ও কালিরবাজার গো হাটেও একই দৃশ্য।

এ ৩টি পশুর হাট ছাড়াও ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলায় অন্তত ২০টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট মিরে থাকে। এ সকল হাটের বিষয়েও প্রশাসন কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি।

ছেংগারচর গরুর হাটের ইজারাদার মোবারক হোসেন মুফতি জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে কঠোর লকডাউন চলছে। তাই আমরা গরুর বাজার মিলাইনি। কোন ক্রেতা-বিক্রতাও আসেনি। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে প্রশাসনের অনুমতিক্রমে আমরা গরুর বাজার মিলানো হবে। পশুর হাট বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক লোকসান হবে।

লুধুয়া আমতলা পশুর হাটের ইজারাদার মুক্তার হোসেন জানান, এ হাটটি মতলব-ছেংগারচর সড়কের কাছে হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু কেনা-বেচার জন্য আসে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা হাট মিলানো বন্ধ রেখেছি।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কঠোর লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা মেনে গরুর হাট মিলানো বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদুল আযহার পূর্বে সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Loading

শেয়ার করুন: