গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়েত সেদিন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল:নির্মল রঞ্জন গুহ

আকতার হোসেন :

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়েত জোট সরকার সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। গ্রেনেড হামলায় হত্যার সাথে জড়িত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাহলেই যারা গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলার মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কোন ঠাঁই নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওই দিন তারা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীবিরোধী সমাবেশে প্রেনেড হামলা করে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার চাই। ঐ গ্রেনেড হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাইমচরের আঃ কুদ্দুছও নিহত হয়েছেন। মতলব দক্ষিণে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে মতলব সেতুর দক্ষিণ পাড়ে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

২১ আগস্ট বেলা ২ টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. হেলাল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাবু নির্মল গোস্বামী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বি এইচ এম কবির আহমেদ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো: পারভেজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর পিন্টু সাহা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র দাস, আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ ফেরদাউস আলম।

পরে নেতৃবৃন্দরা চাঁদপুরের হাইমচরের আঃ কুদ্দুসের কবর জিয়াতর করেন। এছাড়াও নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

Loading

শেয়ার করুন: