চাঁদপুরে গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে কৃষি জমিতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ৮ মে শনিবার সকালে ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ দেওয়ানকান্দি মাঝের চর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী দেওয়ান (৭৪), একই এলাকার মৃত আদু দেওয়ানের পুত্র শারাফাত আলী দেওয়ান (৬৫), মৃতত কালু দেওয়ানের পুত্র ওহাব আলী দেওয়ান (৬৮), মহিউদ্দিন দেওয়ানের পুত্র মুক্তার হোসেন (৩০), মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের পুত্র নাজমুল হোসেন (২৫), আবদুল হামিদ পাটওয়ারীর পুত্র জব্বার পাটোয়ারী (৬০), দিল মোহাম্মদ প্রধানিয়ার পুত্র আলমগীর প্রধানিয়া (২৫), জব্বার পাটওয়াীর পুত্র হাকিম আলী পাটোয়ারী (৩০), ও তালেব আলী প্রধানীয়ার পুত্র মহসিন প্রধানিয়া (৪০)।

এরা প্রত্যেকেই ধারালো অস্ত্র এবং টেঠার আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও আরো ৬/৭ জন কম বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারাই স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে রাজ রাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী বেপারী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ছুটে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।

আহত এবং তাদের স্বজনরা জানান,রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন প্রধানীয় গ্রুপ ও দেওয়ান গ্রুপের লোকজনের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।

এরই সূত্র ধরে শনিবার সকালে শেখ ফরিদ দেওয়ানের জমিতে প্রধানীয়া বাড়ির একটি গরু ধানক্ষেতে ঢুকে তার জমির ধান খেয়ে ফেলে। এজন্য দেওয়ানকান্দির লোকজন সেই গরুটি আটকে রাখেন।

আর এ খবর পেয়ে প্রধানিয়াকান্দির লোকজন দলবল নিয়ে সেখানে ছুটে যায়।তারা সেখান থেকে গরুটি ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় প্রথমে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়লে দেওয়ান গ্রুপ এবং প্রধানীয়া গ্রুপের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। তবে হামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী দেওয়ানসহ দেওয়ান কান্দির লোকজন বেশি গুরুতর আহত হতে দেখা গেছে।

হামলার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও হাসপাতালে ছুটে যেতে দেখা গেছে।

হামলায় যারা সবচেয়ে বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী বেপারী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি ফসলি জমিতে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে দেওয়ানকান্দি এবং প্রধানের বাড়ির দুই গ্রুপের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছি এবং আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। যারা আহত হয়েছে আগে তারা সুস্থ হোক তারপরে যেভাবে সুষ্ঠু সমাধান হবে আমরা সেভাবেই তাদের বিরোধ সমাধানে কাজ করবো।

প্রতিবেদকঃ

Loading

শেয়ার করুন: