চাঁদপুরে ৪০ গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত

আনোয়ারুল হক:

আজ ১১ আগস্ট (রোববার) চাঁদপুর জেলার ৪০ গ্রামে আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে । প্রায় এক শতাব্দীর অধিক ধরে এসব গ্রামে মুসলমানরা সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করে আসছেন ।

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার ৪০টি গ্রামে প্রায় ৯০ বছর ধরে এভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে । তারই ধারাবাহিকতায় এবারও একদিন আগে ঈদুল আজহার নামাজ ও পশু কোরবানি করছেন এসব গ্রামের মানুষরা।

যেসব গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন হয়েছে :হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলঁচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেনাগাঁও, বাশারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া,নুরপুর,শাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা ও চর:দুখিয়া। মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী এবং কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রাম।

আজ সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা গ্রামের সাদ্রা হামিদিয়া সিনিয়র মাদরাসা প্রাঙ্গণ ঈদুল আজহার জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা মোঃ আরিফুল্লাহ। ৪০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মুসলিম ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। এসব গ্রামের ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত সকাল ৯টায় ও ১০টায় শুরু হয়।

জানা গেছে, এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায় । গ্রামের ছোট শিশুরা এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করে । আর ঈদকে ঘিরে গ্রামগুলোর বিভিন্ন স্থানে বসে গ্রামীণ মেলা বসেছে ।

স্থানীয় জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান মাত্র ছয় ঘণ্টা। ছয় ঘণ্টা ব্যবধানের জন্য রোজা ও ঈদ পালনে বাংলাদেশে একদিন/দুইদিন ব্যবধান হতে পারে না।

১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন। এদের মধ্যে তার বড় ছেলে মরহুম আবু যোফার মোহাম্মদ আবদুল হাই সাদ্রাভী ছিল অন্যতম। পরবর্তীতে তাঁর অনুসারী হয়ে এসব অঞ্চলের মুসলমানগন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পালন করে থাকেন।

Loading

শেয়ার করুন: