চাঁদপুর জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নানা অনিয়মের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

আনোয়ারুল হক ॥

চাঁদপুর জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে বর্তমান আহ্বায়কের স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা।

৩০ মার্চ বুধবার বিকেল ৫ টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মামুনুল হক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকে দলের ভালোর জন্যে কারো পরামর্শ গ্রহণ করেন না। আসন্ন সম্মেলনের তারিখ,স্থান নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ,অতিথিবৃন্দ সম্পর্কে চাঁদপুর জেলার কোন আসনের এমপি প্রার্থী এবং আমরা যারা এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থী কারো সাথেই আলোচনা না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবনে কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভায় তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় বাড়ির মেইন গেট বন্ধ করে সাবেক এমপি আ.ন.ম এহসানুল হক মিলনের সমর্থিত ১৫ নেতা কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এবারের দ্বিবার্ষি সম্মেলনকে সফল করতে মাননীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়ারর উপস্থিতিতে ২৫ মার্চ চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে মিটিং চলাকালে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নির্দেশে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের সমর্থিত শাহারাস্তি-হাজিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ককলেট নিক্ষেপ করে আক্রমণ এবং মারধর করে ৮ জনকে আহত করা হয়।

গত ২৯ মার্চ জেলা বিএনটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দেওয়ান মো.সফিকউজ্জামানের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে তার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

লিখিত তিনি ৪টি বিশেষ প্রস্তাব রাখেন। সেগুলো হলো, ১. বিএনপি গণতন্ত্রের বিশেষ বিধান ধারা ১৫-খ মতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা, ২. সম্মেলনে স্থান হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় অথবা চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা, ৩. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন, ৪. ১৫১৫ জন কাউন্সিলার স্ব স্ব ইউনিটে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে নিজস্ব মতামত মহাসচিবের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা দাবি জানান।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিযাদ ফেরদৌসের পরিচালনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী,এইচএম আহসান উল্লাহ,সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন শান্ত, আলম পলাশ, কেএম মাসুদ প্রমুখ।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোস্তফা খান সফরীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।এসময় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক এবং স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন: