চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটির সভা

স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটি (টিএলসিসি) এর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২০মার্চ (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর পৌর পাঠাগার হলরুমে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজউদ্দিন হাওলাদারের পরিচালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের প্রজেক্ট শেষ হলেও যেন চলমান থাকে, আমরা পৌরসভা তা পরিচালনা করব। আমি পৌরসভার মাধ্যমে রাস্তায় লাইট দিচ্ছি, ফুটপাত দিচ্ছি। আমি এ মেয়াদকালে লেকের পাড় অঙ্গীকার মেরামত করেছি। ইতিমধ্যে পত্রিকায় দেখেছেন অঙ্গীকার এর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তার কাজ করছি। আমরা বিশেষ কিছু রাস্তার কাজ করেছি। আমাদের প্লান আছে রেলওয়ের পাশে যে রাস্তাটি আছে সেটির কাজ করবো। পৌরসভার ড্রেনেজ এর কাজ করছি। আমাদের পানি পাম্প গুলো নষ্ট ছিল, তা ঠিক করা হয়েছে। নতুন পাম্প ক্রয় করা হয়েছে। আমরা রাস্তার কাজ করছি, এজন্য প্রায় ১০কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বৈল্পবিক পরিবর্তন এসেছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতর যে কাজ, সেগুলো আমরা করেছি। আমার মেয়াদে চাঁদপুর পৌর নাগরিক সেবায় যা যা প্রয়োজন তাই করবো । তবে এক্ষেত্রে নাগরিকদের সহযোগিতা চাই,সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই ।

তিনি বলেন, পৌরসভার মাধ্যমে একটা বড় প্রকল্পভুক্ত করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আশারাখি সহসাই হয়ে যাবে। আমরা জনগনকে আশান্বিত করছি। যাতে জনগণ খুশি হয়। আমার এ মেয়াদে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি । এ যাবত মোট ২৪কোটি টাকার কাজ করেছি। আমরা পৌর কবর স্থানের জন্য কাজ করছি। কবরস্থানে ভিতরে অনেক নতুন পথ তৈরি করছি, মাটি দিয়ে ভরাট করেছি, এত অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। আমরা পৌরকবরস্থানে ৩৪টা সোলার লাইট দিয়েছি। আগে পৌরসভায় কোন কলেজ ছিলনা, আমরা একটাতে কলেজ করেছি। আমরা যা কিছুই করেছি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কারনে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর জন্য আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।

তিনি আরও বলেন, বাজেট আমরা সঠিক নিয়মে করেছি, শুধু আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে পারিনি। আমরা সামনের বছর থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বাজেট করব। তিন মাস পর পর প্রেস কনফারেন্স করব। যানঝট নিরসনে কাজ করবো, এটা করতেই হবে। আমরা নতুন একটাও অটো লাইসেন্স দেইনি, আমরা আরো পুরাতন লাইসেন্স বাতিল করেছি। সিএনজি থেকে যে টোল আদায় করছি তাদেরকে আমরা বাৎসরিক ইজারা দেই, এ আয়টা পৌরসভার কোষাগারে জমা হয়। মিশন রোডে ট্রান্সমিশষ স্ট্রেশন সরানো হবে। বঙ্গবন্ধু সড়ক দুইলেন করা হবে, আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোন পৌর টেক্স বাড়ালে পৌরসভার কোন গনশুনানি করার নিয়ম নাই, তারপরও আমরা নাগরিকদের জানাবো। আমি মাসে বিদ্যুত বিল বাবদ ১৬লক্ষ টাকা সাবসিডি দিচ্ছি। আপনারা যে পরামর্শ দিয়েছেন আমরা সে ভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।

সভায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার, টিএলসিসি সদস্য ডা: মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন বাবু, চাঁদপুর পৌরসভার নিবাহী কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম ভূইয়া, চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুদা নূর খান, চাঁদপুর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ ঘোষ, কমিটির সদস্য সেলিম পাটওয়ারী, সদস্য রুপালি চম্পক, সদস্য শিল্পি ঘোষ প্রমূখ।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটি সদস্য সৈয়দ মশিউর রহমান, চন্দ্রনাথ ঘোষ, মো: অলি উল্ল্যাহ, আয়েশা রহমান, নাজমা, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা, মামুনুর রহমান দোলন, শাহিনা আক্তার, আব্দুল লতিফ গাজী, ফেরদৌসী আক্তার, খালেদা বেগম, ঝর্না, দীলিপ কুমার দে, মো: মোশারফ হোসেন, মো: শাহাজাহান খান, মো: আব্দুল বাতেন মিয়াজী, বিলকিছ বেগম, মো: আবুল হাসান, মো: নুরুল আমিন, কায়সার আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

Loading

শেয়ার করুন: