চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী পর্যন্ত আরেকটি বিকল্প মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে :পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

আনোয়ারুল হক॥

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম বলেছেন, চাঁদপুরের সন্তান হিসেবে নিজ জেলার প্রতি আমার ভালোবাসা একটু বেশিই থাকবে। একটা সময় যেকোন কাজে আমরা সরকারের উপর নির্ভর ছিলাম। সবকিছুই কেবল সরকারের কাছে চাইতাইম। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে বেসরকারি খাতও শক্তিশালী হয়েছে। দেশের অনেক বড় বড় কাজ বেসরকারি খাত থেকে হচ্ছে। এক সময় এদেশে ৮৭ ভাগ বিনিয়োগ বিনিয়োগ ছিলো সরকারের,আর এখন ৮১ ভাগ বিনিয়োগ আসে বেসরকারি খ্যাত থেকে। এটি সম্ভব হয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় দেশের অগ্রযাত্রার কারনে। গতকাল ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

ওই সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,অনেক ক্ষেত্রে সরকারের কাজ হবে রেফারির মত। সরকার নিজে খেলোয়ার হলে হবে না। রেফারি হয়ে খেলোয়ারদের জন্যে সরকার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে দিবে। বর্তমানে দেশের প্রবৃদ্ধির যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে সেটি ধরে রাখতে হবে। এ জন্য আমরা কৃষি ও শিল্প উন্নয়নে বিশেষ নজর দেব। সরকারের সোনার বাংলা তৈরি করতে পরিকল্পনার সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে সমন্বয় করে আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করব।

তিনি বলেন, আপনারা যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন, তারা নিজ এলাকার সমস্যা ও উন্নয়নের কথা নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরবেন। এতে আমার জন্য কাজ করতে সহজ হবে। আমিও আপনাদের পরিবারের একজন। আমার অনেক লেখা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে আসছে।

দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম।

এ সময় তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে যে আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে সেটির উপকারভোগী হবে লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ দেশের মধ্যভাগের অনেকগুলো জেলার মানুষ। সেই লক্ষ্যে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরির স্থলে সেতু ও গজারিয়া-মতলব উত্তর নৌ-রুটে আরেকটি সেতু হবে।

দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুত এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন,এখন যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে আগামি ২০৪১ সালে দরিদ্রতা বলতে কিছুই থাকবে না। তখন এই শব্দটি ইতিহাসের বইয়ে লিপিবদ্ধ হবে। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমাণে সবধরণের উন্নয়ন চলছে।

চাঁদপুরসহ সারাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের ধারণা দেন। একই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া থেকে মতলব হয়ে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী পর্যন্ত আরেকটি বিকল্প মহাসড়ক নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন,চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো.মিলন মাহমুদ,চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, জালাল চৌধুরী,শহীদ পাটোয়ারী,শরীফ চৌধুরী,গিয়াসউদ্দিন মিলন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী,লক্ষ্মন চন্দ্র সুত্রধর,এইচএম আহসান উল্লাহ, সাংবাদিক অধ্যাপক মো.দেলোয়ার হোসেন,মো.ফারুক আহম্মদ,টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস প্রমুখ।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম চাঁদপুরে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। পরে মন্ত্রী প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান এবং চাঁদপুর বড়স্টেশন এলাকায় শহররক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।

Loading

শেয়ার করুন: