নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা ছাত্রলীগ উদ্যোগে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট রোববার দুপুরে সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পাকিস্তানীদের পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করি। কিন্তু ৭৫ সনের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে সেদিন বঙ্গবন্ধু ২ কন্যা প্রানে বেঁচে যান। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল সোনালী অর্জনে ছাত্রলীগের অংশ গ্রহণ রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা গৌরবের সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে কলম তুলে দিয়েছেন। তার ফলসরুপ আজকে তাই ছাত্রলীগ এই ধরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গাছ চারা আমাদের জীবন ভাবা যায় না। চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগ বৃক্ষ রোপন ও গাছের চারা বিতরণের যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তাই আমি তাদের সাধুবাদ জানচ্ছি। আমি আশাবাদ ব্যাক্ত করবো দেশের সকল ভালো কাজে ছাত্রলীগ অংশ গ্রহণ করবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ বি এম রেজওয়ানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির গাজীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. হুমায়ন কবির সুমন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হযরত আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম মিজি, সদস্য মোস্তফা মোল্লা, আবুল হাসানাত নয়ন, পৌর যুবলীগ সদস্য আল আমিনসহ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
পরে চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ১৪টি ইউনিয়নের জন্য ১৫শতাধিক গাছের চারা প্রত্যেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
